খবর৭১:পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের স্কুল কলেজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে। সে দেশে যোগ্য লোকের অভাবের কারণে স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তিকেউ গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ের ক্লাস নিতে দেওয়া হয়। পাকিস্তানি দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শিক্ষক স্বল্পতার কারণে ইসলামাবাদের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ভাড়া করে নিয়ে এসে ক্লাস করিয়ে নেওয়া হতো। তবে সেই নিয়ম বাতিল করে দিয়েছে সরকার।
ফলে ইসলামাবাদের বালকদের সবচেয়ে বড়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র কেরানিকে নিতে দেওয়া হয়েছে অনার্স লেভেলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ক্লাস। একই কলেজে ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক পড়াচ্ছেন ইতিহাস। এছাড়া নারীদের জন্য স্নাতকোত্তর পর্বের প্রতিষ্ঠানে ফার্সির শিক্ষক উর্দু পড়ান।
বলা চলে কোন বিষয়ের শিক্ষক কোন বিষয়ে পড়াবেন এমনটা ধরাবাঁধা নেই। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই চলছে এমন অনিয়ম। শিক্ষক ছাড়াও অন্য যে সকল কর্মচারী আছেন, রুটিন মাফিক তাদেরও নিতে হয় ক্লাস।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক বলেন, তাদের কলেজে সকালের ব্যাচে মাত্র আটজন শিক্ষক নির্দিষ্ট বিষয়ের ক্লাস নেন। আর বিকেলের ব্যাচ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।
তিনি আরো জানান, ইংরেজির জন্য কোনো শিক্ষক নেই। রসায়ন, জীববিজ্ঞানের জন্যও কোনো শিক্ষক সেখানে নেই। মনোবিজ্ঞান এবং পরিসংখ্যানের শিক্ষকরা ইংরেজিসহ অন্য বিষয়ের ক্লাস নিচ্ছেন।
শিক্ষক সমিতির সাবেক প্রতিনিধি তাহির মাহমুদ জানান, এটা অত্যন্ত বাজে ব্যাপার যে, শিক্ষকরা যে বিষয়ে পড়াচ্ছেন তা সম্পর্কে নিজেদেরই কোনো ধারণা নেই। সে কারণে ছাত্রদের কোনো বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে পারবেন না ওই শিক্ষকরা।
তিনি আরো বলেন, যে শিক্ষক জীববিজ্ঞান পড়ানোর কথা, তিনি পদার্থবিজ্ঞান পড়ালে তা কার্যকর হবে না। কারণ পদার্থবিজ্ঞান তিনি নিজেই ভালো বুঝবেন না। আর যে বিষয়ে নিজেই ভালো জানেন না, তা অন্যদের কীভাবে ভালো লাগাতে পারবেন, সেটা আমার মাথায় আসে না।
খবর৭১/জি: