খবর৭১:মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা আর্থিক সেবা সম্প্রসারণে এর চার্জ কমানোর চেষ্টা করছে সরকার। ব্যাংকিং খাত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট বন্ধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এসব নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি জানান, বৈদেশিক সহায়তার ক্ষেত্রে বিগত অর্থবছরে পাওয়া আশ্বাসের চেয়ে ছাড় হওয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ২৮৪ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার কম। মন্ত্রী এর কারণও ব্যাখ্যা করেন।
সরকারি দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল আর্থিক সেবা জনপ্রিয় ও সম্প্রসারণ করার জন্য সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ সেবার চার্জ কমানো সম্ভব হলে নিম্ন আয়ের জনসাধারণের মধ্যে এটি আরো জনপ্রিয় হবে বলে সরকার মনে করে। চার্জ কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিটিআরসি) এবং ডাক ও টেলিযোগাডোগ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ‘
এ ছাড়া এর ব্যবহার সহজীকরণের উদ্দেশ্যে প্রোভাইডারদেরকে ইন্টারনেটভিত্তিক অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এসব অ্যাপ ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষায় তৈরি করার জন্যও তাদেরকে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। বাংলায় অ্যাপ চালু করা সম্ভব হলে সকল শ্রেণির গ্রাহকের সুবিধা ভোগ করতে সক্ষম হবে।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মোবাইল ব্যাংকিং সাধারণ ব্যাংকিং-এ কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে তিনি মনে করেন না। এ ছাড়া মাইদুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী দাবি করেন, তিনি কখনো ক্ষুদ্রঋণের বিরোধী ছিলেন না।
সিলেটের সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন অর্থমন্ত্রীর কাছে ব্যাংকিং খাত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট বন্ধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান। এর জবাবে ব্যাংক কম্পানি আইন সংশোধনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংকগুলোয় পরিদর্শন ও তদারকি জোরদার করা হয়েছে। সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য দায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সরকারি দলের ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিদেশি ব্যাংক বাদে দেশে তফসিলভুক্ত বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা ৪০টি। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩০ হাজার ২৯০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এক হাজার ৬০৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১৯৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এই ৪০টি ব্যাংক গত অর্থবছরে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৯ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। একই সময় আদায় করেছে চার লাখ ৫০ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা।
স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিগত অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অনুকূলে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাজ থেকে প্রাপ্ত বৈদেশিক সাহায্যের আশ্বাসের পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৯৬১ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ছিলো ১৭ হাজার ৫৫৭ দশমিক ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ৪০৪ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে ছাড় করা হয়েছে মোট তিন হাজার ৬৭৭ দশমিক ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা প্রাক্কলিত ডিসবার্সমেন্টের ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ২১৭ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ৪৫৯ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি আরো বলেন, ‘প্রাপ্ত ঋণের অধিকাংশই নমনীয় শর্তের। অর্থাৎ গ্রান্ট এলিমেন্ট ৩৫ শতাংশের বেশি নয়। শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে নেওয়া ১১ হাজার ৩৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণটির সুদের হার পরিবর্তনশীল। তবে এ হার কখনো ৪ শতাংশ
খবর৭১/জি: