খবর৭১: হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে হাইকোর্টের দেয়া আত্মসমর্পণের নির্দেশ বহালই থাকলো।
রবিবার (০৭ জানুয়ারি) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগে আবেদনের পক্ষে নাজমুল হুদা নিজেই শুনানিতে অংশ নেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান জানান, বিচারিক আদালতের রায়ের পর ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের করা একটি মামলায় দণ্ডাদেশ ও আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন দায়েরে হলফনামা করার অনুমতি চেয়ে সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদার করা আবেদন উপস্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দে আপিল বিভাগ। এর ফলে ওই মামলায় নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণ করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন ।
আকতার হোসেন লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর জাহির হোসেনের কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুদক নাজমুল হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করে। এ মামলায় জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন এমপি হোস্টেলে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ২৭ আগষ্ট এক রায়ে নাজমুল হুদাকে ৭ বছর ও সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই দম্পত্তি হাইকোর্টে আপিল করেন। এ আপিলের উপর শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২০ মার্চ এক রায়ে হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের পহেলা ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন এবং পুনরায় হাইকোর্টে বিচার করার নির্দেশ দেন। এরপর মামলাটির পুনরায় শুনানি শেষে গত ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে নাজমুল হুদাকে চার বছর কারাদণ্ড এবং সিগমা হুদাকে তার কারাভোগকালীন সময়কে সাজা হিসেবে ঘোষণা করেন। আদালত নাজমুল হুদাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এ রায়ের কপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
কিন্তু নাজমুল হুদা আত্মসমর্পণ না করে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই রিট আবেদন গত ১০ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ। এরপর তিনি আত্মসমর্পণ ছাড়াই আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।
খবর৭১/জি: