সোনারগাঁওয়ে আর কত প্রাণ নেবে ইউনিক গ্রুপ

0
429

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে “আর কত প্রাণ নেবে ইউনিক গ্রুপ” মাত্র ৫ বছরে এ পর্যন্ত মোট তিনটি তাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু তিনজন মায়ের বুকই খালি করেনি। স্বামী হারা হয়েছেন তিন নারী। পিতৃহারা হয়েছে তাদের সন্তানেরা। ভাই হারিয়েছে বোন, বন্ধু হারিয়েছে তার সঙ্গিদের। মোহাম্মদ আলী হত্যার পর স্থানীয়দের মুখে শোনাগেছে এমনই উক্ত।
স্থানীয়রা জানায়, ২০০৫ সালের শেষ দিকে জৈনপুর গ্রামের চাল ব্যবসায়ী নোয়াব প্রধানকে দিয়ে শুরু করে জমি ক্রয়ের কাজ। নোয়াব প্রধান স্থানীয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাবশালী কয়েকজনকে নিয়ে গড়ে তুলেন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তারপর থেকে ওই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ৫/৬ টি গ্রামের সাধারণ কৃষকদের উপর শুরু হয় ইউনিক গ্রুপের নির্যাতন আর অত্যাচারের ষ্ট্রীমরোলার।
শুরু হয় বালু ভরাটের কাজ। বালু ভরাট কাজ নিয়ে দ্বন্দ্ ে২০১২ সালের ১২ জুলাই প্রথম খুন হয় কান্দারগাঁও গ্রামের মোজাফ্ফর আলীর ছেলে রিপন মিয়া। তাকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
তারপর ২০১৪ সালের ১৬ জুন একই কারণে হত্যা করা হয় ২০১২ সালে রিপন হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে সাধন মিয়াকে। ২০১৫ সালে ১১ মে মেঘনা নদীতে মাতাল বানিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয় একই গ্রুপের কান্দারগাঁও গ্রামের গোলজার মিয়াকে।২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী বজলুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্ঠা।
আর সবশেষ গত ৩ জানুয়ারী দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় শাহাপুর গ্রামের আরজন আলীর ছেলে কান্দারগাঁও এলাকায় বসবাসকারী যুবক মোহাম্মদ আলীকে।
তাছাড়া, বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় ও স্থানে কতজন আহত বা পঙ্গ হয়েছে,মানবেতন জীবন-যাপন করছে এলাকাবাসীরা। তাই স্থানীয়দের মনে প্রশ্ন, আর কত প্রাণ নিবে ইউনিক গ্রুপ?

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here