বেলকুচিতে তীব্র শীতে কাঁপছে হতদরিদ্র মানুষ, নেই শীত বস্ত্র

0
821

উজ্জ্বল অধিকারী, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
যমুনা নদীর তীর বর্তী সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় টানা কয়েক দিনের তীব্র শীতে ও ঘন কূয়াশায় কনকনে ঠান্ডায় ভুগছে উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার হতদরিদ্র মানুষ। শীতের কাপড়ের অভাবে কাঁতরাচ্ছে তারা। সেই সাথে ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা পড়েছে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ। এখনও পায়নি সরকারি ও বেসরকারী  কোন শীত বস্ত্র। উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে বলা হচ্ছে কিছু শীত বস্ত্র এসেছিল তা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাঝে বিতরনের জন্য দেয়া হয়েছে।

বিকাল থেকে শুরু হওয়া ঘন কুয়াশার আবছা পরের দিন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অব্যহত থাকছে। এই ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার হতদরিদ্র পরিবার তাদের কোমলমতি ছেলে মেয়ে ও বৃদ্ধ মা বাবাকে নিয়ে শীতের কবলে পড়ে চরম বিপাকে পড়েছে।

এলাকার বিত্তশালী ধনী মানূষের শীত নিবারণ করার জন্য লেপ ও কাঁথা, গায়ে চাদর, কোম্বল এবং বিভিন্ন প্রকারের গরম কাপড়-চোপড় থাকলেও উপজেলার হতদরিদ্র মানুষের শীত নিবারণের জন্য তেমন কিছুই নেই। তাই ঐ সকল হতদরিদ্র পরিবারের কমলমতি শিশুরা শীত নিবারণের জন্য বিকল্পপথ অবলম্বন করে মাঠ ঘাটে ক্ষেত থেকে খড়কুটা সংগ্রহ করে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।

কিন্তু ঐ কোমলমতি শিশুরা যে সময়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই সময়ে শীতের কাছে পরাজয় বরণ করে শীত থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকে। তীব্র শীত ও কনকনে ঠান্ডার কারণে অনেক শিশু ও বৃদ্ধ শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

এই উপজেলায় অনেক ধনাঢ্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং সমাজসেবামূলক এনজিও সংগঠন থাকলেও এখন পর্যন্ত কেউ এ হতদরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। তাই সরকার যদি অতি জরুরিভাবে এই উপজেলার হতদরিদ্র মানুষের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে অচিরেই শীত জনিত নিউমোনিয়া, ডাইরিয়া, আমাশয়, এ্যাকজিমাসহ প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে বলে সচেতন মহল মনে করেন।

এ ব্যাপারে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান বলেন, কিছু সরকারী কম্বল এসেছে সেগুলো পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে বন্টন করে দেয়া হয়েছে। পর্যয়ক্রমে    আরও আসবে। তবে যে পরিমান শীত বস্ত্র এসেছে তা অপ্রতুল।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here