খবর৭১: ২০০৪ সালে আবিষ্কার হওয়া গ্রাফিন আসলে বহুরূপী মৌল কার্বনের একটি ভিন্ন অবস্থা মাত্র। এটি সরু চাকতিরূপে বিরাজ করে, চাকতিটির ক্ষেত্রফল যত বড়ই হোক না কেন পুরুত্ব হয় মাত্র একটি পরমাণুর আকারের সমান। এটি কাচের মতো স্বচ্ছ।
এটি ইস্পাতের তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী এবং এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সব মৌল ও যৌগের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী।
গ্রাফিনের আরেকটি বিশেষ দিক হচ্ছে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত পদার্থগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী। ফলে ভবিষ্যতে গাড়ি, উড়োজাহাজ এবং সোলার সেলে গ্রাফিন ব্যবহারের চিন্তা করছেন প্রকৌশলীরা। একই সঙ্গে গ্রাফিন অনেক হালকা। ফলে গ্রাফিন দিয়ে তৈরি যানের জ্বালানি-খরচও তুলনামূলক কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোজা কথায়, পৃথিবীটাকেই পাল্টে দেবে গ্রাফিন। অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বকে আমূল বদলে দিতে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। কিন্তু জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও রাইস ইউনিভার্সিটির ধাতু বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা ব্যাপক গবেষণার পর গ্রাফিনের দুর্বল দিকটি আবিষ্কার করেছেন। তারা গ্রাফিন খণ্ডের দৃঢ়তা নির্ণয় করতে গিয়ে বুঝতে পারেন, নতুন এই ধাতু ভঙ্গুর প্রকৃতির। আর ভঙ্গুর হওয়ার কারণে সব কাজে এটা ব্যবহার করার সুযোগ কম।
জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক টিঙ ঝু বলেন, ‘একটি ধাতুর ফ্র্যাকচার টাফনেস যদি বেশি, বাস্তবতার দুনিয়ায় সেটির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। আমরা গ্রাফিনের ফ্র্যাকচার টাফনেস পরীক্ষার পর তাতে ভঙ্গুরতার লক্ষণ দেখতে পেয়েছি।’
অধ্যাপক টিঙ ঝুর সঙ্গে গবেষণায় সম্পৃক্ত ছিলেন রাইস ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক জুন লো। তিনি বলেন, ‘সবাই এটা মেনে নিয়েছেন, কার্বন-কার্বন বন্ধন হচ্ছে প্রকৃতিতে সবচেয়ে বড় বন্ধন। এটা শতভাগ সত্য নয়। গ্রাফিনের ক্ষেত্রে শিট বড় হলে তাতে সমস্যা দেখা দেবে।’
খবর৭১/এস: