উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■-সক্রবার(২৯ ডিসেম্বর)২৭৪- একটি অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে পুলিশকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নড়াইল সদর থানার এসআই ভবতোষ রায়, এসআই খাইরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করেছেন এক নারী। অভিযোগকারী ওই নারী অনু মল্লিক (২০)। তিনি নড়াইল সদর উপজেলাধীন বীড়গ্রামের বুলু মল্লিকের স্ত্রী। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, জানা যায়, গত ২১ নভেম্বর অনু মল্লিককে ওই এলাকার রতি বিশ্বাসের স্ত্রী বাসন্তী বিশ্বাস তাকে ফুসলিয়ে বাড়ি হতে বের করে নিয়ে যায়। এরপর বাসন্তীর অন্যান্য সহযোগীরা তাকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে নিয়ে যায়। তাকে মুখ বেঁধে যশোরের শার্শা থানার নিজামপুর গ্রামে নেয়া হয়। সেখানে তাকে একটি নির্জন এলাকার ঘরে আটকে রাখা হয়। নেশাদ্রব্য খাইয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দফায় দফায় তাকে ধর্ষণ করে জয় নামের এক যুবক। অপহরণের দিন অনু মল্লিকের স্বামী বুলু মল্লিক নড়াইল সদর থানায় জিডি করলে সদর থানার এসআই খাইরুল ইসলাম, এসআই ভবতোষ রায়, ঘটনার ৪দিন পর অনুকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় এ ঘটনায় এলাকার অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে সামনে রেখে বুলু মল্লিক বাদী হয়ে এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। উদ্ধারকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই ভবতোষ রায় ও খাইরুল ইসলাম ঘটনার সাথে জয় নামক ওই যুবকের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় জয়কে আসামি করার কথা বললে বুলু মল্লিক এড়িয়ে যান। এসআই ভবতোষ রায় ও খাইরুল ইসলাম বারবার মুল অভিযুক্ত জয়কে আসামি করার তাগাদা দিলে বুলু মল্লিক ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে শুরু করেন। তারা বলছেন (বুলু ও অনু) এসআই ভবতোষ রায়কে আসামি ধরার জন্য ৯ হাজার টাকা দেওয়া হলেও পুলিশ আসামি না ধরে টালবাহানা করছে, যা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করছেন এসআই ভবতোষ রায়। এসআই ভবতোষ রায় ও এসআই খাইরুল ইসলাম,সাংবাদিকদের জানান যৌথভাবে, জয় নামক ওই যুবক অনু অপহরণের মূল হোতা। অথচ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জয়কে আড়ালে রেখে ভুক্তভোগীরা অন্যান্য লোককে আসামি করেছে, যা আইনবিরোধী। আমরা এর প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
খবর ৭১ /ই: