খবর ৭১:টাটকা শাক-সবজি আর পিঠে-পায়েসের শীতই কি বাংলাদেশিদের প্রিয় ঋতু? কারও কাছে উত্তরটা হ্যাঁ, কারও কাছে ‘না’। শীত নানা কারণেই অনেকের কাছে অপ্রিয় ঋতু।
কারণগুলোর মধ্যে ব্যথা-বেদনা অন্যতম। আমাদের দেশের নয় মাসই থাকে গরম, ফলে আমাদের শরীর গরমের সঙ্গে বেশি মানানসই। আদিকাল থেকেই আমরা এভাবে অভ্যস্ত।
তাই তিন মাসের শীত আমাদের শরীরের সঙ্গে হুট করে মানিয়ে নিতে পারে না। ফলে অন্যান্য রোগের মতো শীতকালে ব্যথাতুর রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
যাদের আগে থেকেই ব্যথা, বিশেষ করে ঘাড়, কোমর, হাঁটু বা কাঁধ ব্যথা থাকে তাদের ব্যথা শীতে তীব্রতর হয়। আবার নতুন ব্যথার রোগীও যোগ হয় এই কালে।
কি ব্যবস্থা নেয়া উচিত : শারীরিক ব্যথার সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা হল আইপিএম অর্থাৎ ইন্টিগ্রেটেড পেইন ম্যানেজমেন্ট। কারণ নির্ণয়পূর্বক ব্যথার ধরন অনুযায়ী চিকিৎসাই হল আইপিএমের মূলমন্ত্র।
অনেকেই ব্যথার ধরন নির্ণয় না করেই ব্যথানাশক সেবন করেন বা ফিজিওথেরাপি নিতে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় তা হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
অনেকে দীর্ঘদিন ব্যথার ওষুধ খেয়ে গ্যাস্ট্রিক আলসার বা কিডনি রোগ বাধিয়ে ফেলে জীবনকে আরও জটিল করে ফেলেন।
তাই প্রত্যেকটি ব্যথায় রোগীকে ব্যথার কারণ জেনে চিকিৎসা নিতে হবে। যেমন ধরুন, কোমর ব্যথার কারণ যদি পটস ডিজিজ বা হাড়ের যক্ষ্মা হয় তবে সেখানে ফিজিওথেরাপি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
তবে হাড়ের ক্ষয় রোগে ফিজিওথেরাপি কাজ করতে পারে। কিন্তু এখানেও ক্ষয়ের মাত্রা, ধরন ইত্যাদি জেনেই বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োগ করতে হবে।
এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খ্যাদ্যাভ্যাস, ওজন নিয়ন্ত্রণও চিকিৎসার অংশ। তাই সচেতন হয়ে চিকিৎসা নিলে যে কোনো ঋতুতেই ভালো থাকা যায়।
খবর ৭১/ ই :