খবর ৭১: সৌদি সেনাবাহিনীর এক সাবেক মেজর জেনারেল আলী বিন আব্দুল্লাহ আল- খাতানিকে দুর্নীতির দায়ে আটকদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনে মারা গেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাকে গ্রেফতার করেছিল সৌদি পুলিশ। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স সালমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দেন এবং শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় মেজর জেনারেল আলী ছিলেন তাদের অন্যতম। আটক সৌদি শেখদের অনেকে বিরাট অংকের টাকা দিয়ে মুক্তি পাচ্ছে। কাতার ভিক্তিক আরবি দৈনিক আল-আরব জেনারেল আলীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
ওই খবরে বলা হয়েছে জেনারেল আলী ছিলেন রিয়াদ গভর্নর অফিসের পরিচালক। গত ৪ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত ১২ ডিসেম্বর নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়। এরপর তিনি মারা যান। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, নির্যাতনের মাত্রা এত তীব্র ছিল যে জেনারেল আলীর লাশ দেখে তার মুখায়ব চেনা যাচ্ছিল না।
দুর্নীতির অভিযোগ শতাধিক সৌদি প্রিন্স, আমলা , মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী, ঢনাড্য ব্যবসায়ী সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আটক করে রিয়াদে পাঁচ তারকা হোটেল রিৎজ কার্লটন হোটেলে নিরাপত্তা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিটির প্রধান হচ্ছেন সৌদি বাদশাহ’র পুত্র ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্বে এধরনের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানকে ক্রাউন প্রিন্সের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার কৌশল হিসেবে সমালোচনা করা হচ্ছে।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ছাড়াও অভিযোগ আনা হয়েছে মুদ্রা পাচার, উৎকোচ গ্রহণ, তহবিল তছরুপ ইত্যাদি। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে বিশ্বে সুপরিচিত বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী সৌদি প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল বিন আব্দুল আজিজ যিনি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান কিংডম হোল্ডিং কোম্পানির চেয়ারম্যান, আল তাইয়ার ট্রাভেল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা নাসের বিন আকিল আল-তাইয়ার, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রেড সি ইন্টারন্যাশনালের চেয়াম্যান আমর আল-দাবাগ প্রমুখ।