খবর ৭১:একটা সময়ে কাউকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়ার আগে, নির্বাচকদের অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে হতো। দেখতে হতো দলে সিনিয়ার কারা, তাদের মধ্য থেকে কোনো একজনকে অধিনায়ক করা হলে বাকিরা সেটাকে কীভাবে নেবে। এমনকি অধিনায়কের দায়িত্ব তার কাঁধে দেয়া হলে তার নিজের পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটবে কিনা।
এখনকার নির্বাচকদের দ্বিতীয়টা নিয়ে ভাবতে হয় না। যাকেই ক্যাপ্টেন করা হোক, সে নিজের খেলায় উন্নতি ঘটিয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়। এর সর্বশেষ উদাহরণ রোহিত শর্মা। মোহালিতে অসাধারণ ইনিংস খেলে একদিনের ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলল।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এমনিতেই সেঞ্চুরি করা কঠিন। সেখানে কোহলি এবং রোহিত এটাকে ছেলেখেলার পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। ভারতের কথা বাদ দিলে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ প্রায়ই সেঞ্চুরি করছে। ফলে অধিনায়কত্ব চাপ তৈরি করে, এই কথা বলার কোনো ভিত্তি নেই।
ইংল্যান্ডে জো রুট, ডাবল সেঞ্চুরি দিয়ে অধিনায়কত্ব জীবন শুরু করেছে। নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ক্যাপ্টেন্সি পাওয়ার পর বড় বড় রান করছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু প্লেসিসের ক্ষেত্রেও একই কথা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডারও অধিনায়ক হওয়ার পর নিজের খেলায় উন্নতি করছে।
পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ দলকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। বাড়তি দায়িত্ব ওর ব্যাটিং বা কিপিংয়ে প্রভাব ফেলেনি। অর্থাৎ কোনো ক্যাপ্টেনেরই ব্যক্তিগত খেলায় প্রভা ফেলেনি বাড়তি দায়িত্ব।
খবর ৭১/ ই: