উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইল পুলিশের সাড়াশি অভিযানে জেরার চারটি থানায় বিভিন্ন মামলায় সাজা প্রাপ্ত,গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ ১৬৬জনকে আটক করা হয়েছে । এর মধ্যে ১৪জন রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী।এছাড়া অভিযানকালে ৫৬৫পিচ ইয়াবা, বোতল ফেন্সিডিল ও ৩শ’গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয়েছে । নড়াইল পুলিশের কন্ট্রোলরুম সুত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে গত ৪ডিসেম্বর সকাল থেকে ৮ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকাতে অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত,গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামীসহ বিভিন্ন মামলার ১৬৬জন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ । এর মধ্যে সরাসরি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে ১৪জন । এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৬৫ পিচ ইয়াবা ৫ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩০০ গ্রাম গ্রাজা উদ্ধার করা হয় । নড়াইলে বিশেষ অভিযান চলমান আছে । তারই ধারাবাহিকতায় এই বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে । সাড়াশি অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খাঁন জানান, এ সকল আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। আমরা হঠাৎ করে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করায় তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম (অতিরিক্ত ডিআইজি), এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও তিনি বলেছেন, আমরা জঙ্গি, মাদক ইভটিজিং এর সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেব না । এলাকার সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে এ কাজে সহযোগিতা প্রদানে এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জঙ্গি, মাদক ও ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলেই নড়াইল জেলাকে একটি সমৃদ্ধ জেলায় রূপ দেয়া সম্ভব হবে।
আজ নড়াইলের লোহাগড়া হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ (শুক্রবার ৮-ডিসেম্বর-২৭৪):
আজ নড়াইলের লোহাগড়া হানাদার মুক্ত দিবস। মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে থানা আক্রমণ করে নড়াইলের লোহাগড়াকে পাক হানাদারমুক্ত করেন। সর্বত্র পত্ পত্ করে উড়তে থাকে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। স্বর্তঃস্ফূর্ত বিজয় উল্লাসে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মুক্তিপাগল জনতা। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে,বিএনপির ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের শুরুতেই নড়াইলের লোহাগড়া থানার অধিকাংশ এলাকা পাক হানাদারমুক্ত হয়। এ সময় স্থানীয় রাজাকাররা থানায় আশ্রয় নেয়। পুলিশ এবং রাজাকাররা মিলে থানা অভ্যন্তরে অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিশাল মজুদ গড়ে তোলে। মধ্য নভেম্বরে মুক্তিযোদ্ধারা লোহাগড়া থানা আক্রমণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এ জন্য মুক্তিযোদ্ধা শরীফ খসরুজ্জামানের উপস্থিতিতে ২ ডিসেম্বর নোয়াগ্রাম ইউপির আড়পাড়া গ্রামের বাবু মীরের বাড়িতে এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গ্রুপ কমান্ডার ইমান আলী, ওয়ালিয়ুর রহমান, নুর মিয়াসহ ৩০-৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, মাকড়াইলের কবির হোসেনের নেতৃত্বে কমান্ডার শেখ ইউনুস আলী, লুৎফর বিশ্বাস, রওশন গাজী, আবুল হোসেন খোকনসহ ৪০-৪৫ জনের একদল মুক্তিযোদ্ধা গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নড়াইলের লোহাগড়া থানা আক্রমণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নড়াইলের লোহাগড়া ৮ ডিসেম্বর ফজরের আজানের সঙ্গে সঙ্গে শরীফ খসরুজ্জামান, কবির হোসেন, শেখ ইউনুস আলী, লুৎফর বিশ্বাস, আবুল হোসেন খোকন, মাসুম জমাদ্দারের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা চার ঘণ্টাব্যাপী গেলিরা আক্রমণের মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনী পরাস্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে থানার সামনে উপজেলার কোলা গ্রামের হাবিবুর রহমান ও যশোর সদর উপজেলার জঙ্গল বাঁধাল গ্রামের মোস্তফা কামাল শহীদ হন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ২২ জন পুলিশসহ স্থানীয় রাজাকাররা আটক হয়। শহীদ হাবিবুর রহমানকে লোহাগড়া থানায় এবং শহীদ মোস্তফা কামালকে ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে দাফন করা হয়। লোহাগড়া মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শুক্রবার দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, বর্ণাঢ্য র্যালি, শহীদ হাবিবুর রহমানের কবর জিয়ারত, আলোচনা সভা ও মিলাদ মহফিল। ছবি সংযুক্ত
নড়াইলে বিজয় ভক্তরা সিক্ত হলেন কোমলমতী শিশুদের ফুলের ছোঁয়ায়
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ (শুক্রবার ৮-ডিসেম্বর-২৭৪):
নড়াইলঃ অসাম্প্রদায়িক চেতনার সুর¯্রষ্টা চারণকবি বিজয় সরকারের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে “চারণ কবি বিজয় সরকার ফাউন্ডেশনের” আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে ২দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচী শেষ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। সমাপনি অনুষ্ঠানের দেশের বিভিন্ন এলাকা এবং ভারত থেকে বিজয়ের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বিজয় ভক্তরা। বিকালে বিজয় মেলার সমাপনি অনুষ্ঠানে অতিথীদের ফুলদিয়ে বরন করে নেয় নড়াইলের সুনাম ধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রগতিবিদ্য নিকেতনের একদল কোমলমতী শিশুরা। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, পরে বিজয় সরকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপত্বিতে এক আলোচোনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যডঃ সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, বিজয় সরকার মেলার আয়োজক এবং বিজয় সরকার ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহবায়ক আকরাম শাহীদ চুন্নুসহ দেশ ও দেশের বাইরে থেকে আগত বিজয় ভক্তরা। আলোচোনা সভা শেষে এবারের বিজয় মেলায় ২০১৫-২০১৭ এই তিন বছরের জন্য তিনজন কবি কে বিজয় সরকার স্বর্নপদক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ২০১৫ সালে কবিয়াল সঞ্জয় মল্লিক (নওয়াপাড়া), কবিয়াল স্বপন সরকার (কোটালীপাড়া), কবিয়াল মোঃ আবু ইউসুপ (চট্টগ্রাম)। মেলা শেষে ৫ ডিসেম্বর রাতভর কবি গানের আসর মাতান স্বর্নপদক প্রাপ্ত কবিয়াল গন। চারণ কবি বিজয় সরকার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সোমবার থেকে শুরু হওয়া মেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল কবির প্রতিকৃতিতে পু®পমাল্য অর্পন, মেলার উদ্বোধন, শিল্পী বলদেব অধিকারীর চিত্র প্রদর্শনী, বিজয়গীতি প্রতিযোগিতা, স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠান, কবি গানের আসর, বিজয়গীতি পরিবেশনা,ধুয়োগান ও বিজয় স্বর্ণ পদক প্রদান। এবারের বিজয় মেলায় সেমিনারে অংশগ্রহন করেন ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.পবিত্র সরকার। বার্ধ্যকজনিত কারণে ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর ভারতে পরলোকগমন করেন কবিয়াল বিজয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গের কেউটিয়ায় তাকে সমাহিত করা হয়। এই গুণী শিল্পী ২০১৩ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন। ১৩০৯ বঙ্গাব্দের ৭ ফাল্গুন নড়াইল সদরের ডুমদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রকৃত নাম বিজয় অধিকারী হলেও সুর, সঙ্গীত জন্য ‘সরকার’ উপাধি লাভ করেন। বিজয় সরকারের বাবার নাম নবকৃষ্ণ অধিকারী ও মা হিমালয়া দেবী। বিজয় সরকার নবমশ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। মতান্তরে মেট্রিক (এসএসসি) পর্যন্ত। বিজয় সরকারের দুই স্ত্রী-বীণাপানি ও প্রমোদা অধিকারীর কেউই বেঁচে নেই। সন্তানদের মধ্যে কাজল অধিকারী ও বাদল অধিকারী এবং মেয়ে বুলবুলি অধিকারী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন। বিজয় সরকার তার জীবনদ্দশায় প্রায় ১৮০০ গান লিখেছেন এবং সুর করেছেন। বিজয় সরকার নবমশ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন, মতান্তরে মেট্রিক পর্যন্ত। বিজয় সরকার গেয়েছেন-যেমন আছে এই পৃথিবী / তেমনিই ঠিক রবে/ সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে…। নবী নামের নৌকা গড়/ আল্লাহ নামের পাল খাটাও/ বিসমিল্লাহ বলিয়া মোমিন/ কূলের তরী খুলে দাও…। কিংবা আল্লাহ রসূল বল মোমিন/ আল্লাহ রসূল বল/ এবার দূরে ফেলে মায়ার বোঝা/ সোজা পথে চল…। গেয়েছেন-পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনী/ ওরে একদিন ভাবি নাই মনে/ সে আমারে ভুলবে কেমনে…।#
নড়াইলের অনেক জেলে পরিবারের নিয়মিত পোষ ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ (শুক্রবার ৮-ডিসেম্বর-২৭৪):
নড়াইল চিত্রা নদী আর নেই সেই খরস্রোতা। পাশ ঘেঁষে বয়ে চলা এই নদীর দু’কূল চিত্র বা ছবির মতো সাজানো আর সুন্দর ছিল বলেই এই নদীর নাম হয়েছে এই চিত্রা। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, সময়ের ফেরে নদীর পারে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। দূষণের করাল গ্রাস আর স্রোতের গতিপথে বাধা দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করায় কোথাও কোথাও নৌকা চলার মতো নাব্যও হারিয়েছে চিত্রা। কিন্তু সময়ের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছে চিত্রা পাড়ের সংগ্রামী জেলেরা; যাদের অনেকেই আজো ভোঁদড় ব্যবহার করে মাছ ধরেন। চিত্রা পাড়ের নড়াইল জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ভোগরা, রতডাঙ্গা, পঙ্কবিলাস আর গোয়ালবাড়ির জেলেদের মধ্যে ভোঁদড়ের ব্যবহার বেশি। প্রাকৃতিকভাবে নড়াইল ছাড়াও খুলনা, সিলেট এবং পাবর্ত্য অঞ্চলে ভোঁদড় পাওয়া যায়। বাংলাদেশে মোট তিন প্রজাতির ভোঁদড় দেখা যায়, যাদের বেশীরভাগই বিলুপ্তির দ্বার প্রান্তে। ভোঁদড় হলো উদ্বিড়াল জাতীয় জন্তুবিশেষ। ভোঁদড়ের প্রিয় খাদ্য মাছ। তবে মাছ ছাড়াও বিভিন্ন জলজ প্রাণী শিকারে পটু এরা। বসবাস জলাশয়ের পাশে বনজঙ্গলে। জলাশয়ের গতিপথ পরিবর্তন, বনজঙ্গল ধ্বংস করে নদীর পারে বসতি নির্মাণ, কারেন্ট জালে মাছ শিকারের সময় ধরা পড়া ভোঁদড় মেরে ফেলার কারণে এই প্রাণীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রাণীটিকে সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করা হলেও স্থানীয় মানুষের নানা কুসংস্কার আর অসচেতনতার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে এই ভোঁদড়। পুকুরের মাছ খেয়ে ফেলবে এই ভয়ে অনেকেই লোকালয়ের আশেপাশের ভোঁদড় মেরে ফেলতে উদ্যত হন। পোষা ভোঁদড়ের সাহায্যে নড়াইলের অনেক জেলে এখনো মাছ শিকার করেন। প্রবীণদের মতে, ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নড়াইল এবং সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকায় মাছ ধরার কাজে ভোঁদড় ব্যবহার করা হয়। প্রভুভক্ত এই স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখতে অনেকটা বিড়ালের মতো। এই প্রাণীকে মাছ ধরতে নামানোর আগে প্রশিক্ষণ দিয়ে নেওয়া হয়। প্রশিক্ষিত ভোঁদড় জাল থেকে মাছ খায় না। বরং মাছের ঝাঁককে তাড়িয়ে জালের দিকে নিয়ে আসে। পুকুর, বিল কিংবা খরস্রোতা নদীতে দক্ষভাবে মাছ ধরতে পারে এরা। অক্টোবর থেকে জানুয়ারি- এই সময়ে নড়াইল, খুলনাসহ সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকার জেলেরা ভোঁদড় ব্যবহার করে নদী থেকে মাছ ধরেন। মাছ ধরার জন্য জেলেরা সাধারণত দলে ভাগ হয়ে নেন। প্রতিটি দলে তিন থেকে পাঁচজন জেলে, একটি জাল এবং কম পক্ষে তিনটি ভোঁদড় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রতিটি দলে দুটি পূর্ণবয়স্ক এবং একটি কমবয়সী ভোঁদড় থাকে। প্রশিক্ষিত বয়স্ক ভোঁদর দুটিকে সাধারণত খুঁটির সঙ্গে দড়িতে বেঁধে ছেড়ে দেওয়া হয়। কমবয়সী ভোঁদড়টিকে মুক্ত অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে মূলত একটি ত্রিভুজাকৃতি ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। বয়স্ক ভোঁদড় দুটিকে দড়ির মাধ্যমে সময়ে সময়ে টান দিয়ে তাড়া দেওয়া হয়, ফলে এরা মাছের ঝাঁককে জালের দিকে তাড়া করে। মাছ ধরা শেষ হওয়ার পরে জাল গুটিয়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি দড়ি ধরে ভোঁদড়গুলোকেও নৌকায় নিয়ে আসা হয়। শিক্ষানবিশ ছোট ভোঁদড়টিকেও টোপ দিয়ে তুলে আনা হয়। মাছ ধরে আনার পরে পুরস্কার হিসেবে ছোট ছোট মাছ ভোঁদড়দের দিয়ে দেওয়া হয়। মূলত এর মাধ্যমেই ভোঁদড়গুলো মানুষের প্রতি আস্থাশীল হয়ে ওঠে। সহজ কথায়, এভাবেই বন্য ভোঁদড় ধীরে ধীরে পোষ মানানো হয়। নড়াইলের অনেক জেলে পরিবারের নিয়মিত সদস্য প্রাণীটি। জলাশয় গুলোতে মাছ কমে আসার ফলে বংশানুক্রমে ভোঁদড় পালন করে আসা জেলে পরিবারগুলোতে এখন বাজছে বিচ্ছেদের সুর। অনেকেই পেশা বদলাচ্ছেন। অনেকেই পরিবার ভোঁদড় পালনের অতিরিক্ত খরচ বহন করতে না পেরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীর চামড়ার মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় পাচারকারী চক্র বেশ সজাগ দৃষ্টি রাখে জেলেদের উপর। জেলেদের অনেকেই তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা দামে বিক্রি করে দেন ভোঁদড়।।# ছবি সংযুক্ত
নড়াইলে কুমারিমাতার নবজাতককে জোরপূর্বক কেড়ে নেয়ার ঘটনায় থানার ওসিকে আদালতে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি ■ (৭-ডিসেম্বর-২৭৪):
নড়াইলের ইতনা ইউনিয়নের ধলাইতলা গ্রামে ধর্ষিতা কুমারিমাতার কোল থেকে জোরপূর্বক নবজাতককে কেড়ে নেয়ার ঘটনা জ্ঞাত হওয়া সত্ত্বেও আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় নড়াইলের লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) আদালত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নিখোঁজ নবজাতকের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান ও প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ জারি করেছেন আদালত। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায়, নড়াইল বিজ্ঞ আমলী আদালত, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো.জাহিদুল আজাদ দৈনিক যশোর দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনায় অভিযোগটি আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন এবং ১১ ডিসেম্বর ওসিকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। আদালতের আদেশের কপি নড়াইলের লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.শফিকুল ইসলামের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, দৈনিক যশোর দৈনিক যুগান্তরে পএিকায় বুধবার‘নবজাতককে কেড়ে নিল পাষন্ডরা,নড়াইলে সন্তান ফিরে পেতে কুমারী মায়ের আকুতি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি বিচারক মো.জাহিদুল আজাদের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় অভিযোগ আমলযোগ্য। আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তার নিকট কোন ব্যক্তির অভিযোগ দায়েরের বাধ্যবাধকতা নেই। আইন অনুযায়ী আমলযোগ্য অপরাধ যে কোন সময় পুলিশ কর্মকর্তা জ্ঞাত হলেই তিনি ফৌজদারী কার্যবিধি ১৫৬ ধারা মোতাবেক তদন্ত করিবেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগ জ্ঞাত হওয়ার পরও তিনি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ভুক্তভোগীর নিকট হতে অভিযোগনামার প্রাপ্তির অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করা মূলত আইনকে ফাঁকি দেয়ার শামিল। তাঁর (ওসির) এরুপ অবজ্ঞা/অবহেলা কেন পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলা বলে গণ্য হবে না। কেন তিনি আইনযোগ্য ঘটনা জ্ঞাত হওয়া সত্ত্বেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তৎ বিষয়ে আগামী ১১/১২/১৭ ই তারিখে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে ওই তারিখে নিখোঁজ নবজাতকের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। জানা যায়, ২ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার ধলাইতলা গ্রামে জনৈক দিনমজুরের ১৯ বছরের কিশোরী কন্যা ধর্ষিতা নারী পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়ার একদিন পরেই নবজাতককে ছিনিয়ে নিয়ে গেলেও ভয়ে বিচার দাবিতে মামলা করতে পারেনি ভুক্তভোগী পরিবারটি। নবজাতকের পিত ৃপরিচয় ধামাচাপা দিতে ধর্ষকের প্রভাবশালী স্বজন একই গ্রামের প্রভাবশালী মৃত আমান গাজীর ছেলে সোহাগ, স্থানীয় হাফিজুরসহ ৪/৫ জন নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে কুমারী মাতার কোল থেকে তার সদ্য প্রসবকৃত পুত্র সন্তানকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এর আগে গত প্রায় ৯ মাস আগে ওই নারীকে নিজ বাড়িতে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পার্শ্ববর্তী কুমারডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোস্তফা শেখের লম্পট ছেলে নয়ন শেখ (৩২) । এরপরও ওই ধর্ষক নয়ন শেখ ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক মেয়েটিকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। এরই একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয় এবং গত ১ ডিসেম্বর তার পিত্রালয়ের কুড়ে ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। ওই কুমারী মাতা তার শিশু সন্তানকে ফিরে পেতে ও সুবিচারের দাবিতে স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য মাতব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। নড়াইলের লোহাগড়া থানার ওসি মো.শফিকুল ইসলাম বিষয়টি জ্ঞাত হওয়া সত্ত্বেও এ ব্যাপারে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।# ছবি সংযুক্ত
নড়াইলে বিজয় মেলায় এবার স্বর্ণ পদক পেলেন তিন কবি
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ (৭-ডিসেম্বর-২৭৪):
একুশে পদক প্রাপ্ত চারণকবি বিজয় সরকারের ৩২তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে নড়াইলে ‘চারণ কবি বিজয় মেলায় এবারের বিজয় মেলায় ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ এই তিন বছরের জন্য তিনজন কবি বিজয় সরকার স্বর্ণ পদক পেয়েছেন। তারা হলেন কবিয়াল সঞ্জয় মল্লিক (নওয়াপাড়া),কবিয়াল স্বপন সরকার (কোটালীপাড়া),কবিয়াল মোঃ আবু ইউসুপ (চট্টগ্রাম)। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, গতকাল রাত ১০টায় এ তিন লোক কবিকে বিজয় সরকার স্বর্ণ পদক প্রদান করেন সমাপনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারতী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য ডঃ পবিত্র সরকার। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো: এমদাদুল হক চৌধুরী’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত সচিব এ ইউ এস এম সাইফুল্লাহ, নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম (অতিরিক্ত ডিআইজি), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিশ^াস, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান ড. সুখেন বিশ্বাস, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নেতাজী শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বসুধা বিশ্বাস, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের লালন একাডেমির সভাপতি সুভেন্দ্র মাইতি, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজয় গবেষক ড. হিরামন পোদ্দার, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজয় সরকার স্মারক পত্রের সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর, সভাপতি যতিন্দ্রনাথ রায়, বিজয় গবেষক ড. গাজীউর রহমান, বিজয় সরকারের পূত্র কাজল অধিকারী, পশ্চিমবঙ্গ লালন একাডেমীর সম্পাদক তাপসি রায়, বেসরকারী সংস্থা রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, জেলা বিজয় সরকার ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহবায়ক এসএম আকরাম শাহীদ চুন্নু প্রমুখ।ক্রেস্টও প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যাসহ ক্লাবটির সকল সদস্যবৃন্দ। দু’দিনব্যাপি এ মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল, কবির প্রতিকৃতিতে পুস্প মাল্য অর্পণ, চিত্র প্রদর্শনী, বিজয়গীতি প্রতিযোগিতা, স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠান, কবি গানের আসর, বিজয়গীতি পরিবেশনা এবং ধুয়োগান। বিজয় স্বর্ণ পদক পাওয়া ৪জন কবিয়াল এবারের মেলায় কবিগান পরিবেশন করেন। মঙ্গলবার রাতভর এই কবির গানের আসর মাতান তাঁরা।গীতিকার, সুরকার ও গায়ক বিজয় সরকার ১৮০০ বেশি গান লিখেছেন। ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর পরলোকগমন করেন বরেণ্য এই লোক কবি। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৩ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন। ১৩০৯ বঙ্গাব্দের ৭ ফাল্গুন নড়াইল সদরের বাঁশ গ্রাম ইউনিয়নের ডুমদি গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। # ছবি সংযুক্ত
নড়াইলে পুলিশের বিশেস অভিযানে ৩৩০ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার-৬৫
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি ■ (৭-ডিসেম্বর-২৭৪):
সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসাবে নড়াইলে ৪টি থানায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে থানা পুলিশের বিশেস অভিযানে গ্রেফতার ৪৪। নড়াইল সদর থানা নড়াইলের লোহাগড়া, নড়াইলের কালিয়া নড়াইলের নড়াগাতি থানা মিলে এ ৬৫ জনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ। নড়াইলে ২৪ ঘণ্টায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মামলায় ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশেস অভিযানে ৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, বুধবার থেকে (বৃহস্পতিবার ৭ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলার চারটি থানা এলাকায় পুলিশ এই সাড়াশি অভিযান চালায়। সদর থানায় ডিবি পুলিশের তৎপরতায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি তুলারামপুর গ্রামের সিরিজ বিশ্বাসের ছেলে সুজন (২৮) কে গ্রেফতার করে। এছাড়া নড়াইল সদর থানা পুলিশের অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সড়াতলা গ্রামের হাকিম মোল্যার ছেলে মনির মোল্যা, শেখহাটী গ্রামের মতিয়ার মৃধার ছেলে মানিক মৃধা (২৫) এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি ভওয়াখালী গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে সাকায়েত (৫৪) কে গ্রেফতার করে। অপরদিকে কালিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৩০০ পিচ ইয়াবাসহ চরভাটপাড়া গ্রামের রাজিব শেখ (২৬), ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি পুরুলিয়া গ্রামের মৃত আক্কাস শেখের ছেলে ওমর শেখ (৪৫), বনগ্রামের কায়েম মোল্যার ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (৩০), ৩০ পিচ ইয়াবাসহ রঘুনাথপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন (২৮) কে গ্রেফতার করেছে। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খাঁনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযানে গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত জিআর মামলা, সিআর মামলা, মাদক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন ধারাসহ মোট ৬৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের এই সাড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। নড়াইল সদর থানার পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলায় মোট ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে নড়াইল সদর থানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খাঁন জানান, এ সকল আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। আমরা হঠাৎ করে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করায় তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম (অতিরিক্ত ডিআইজি), এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও তিনি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন। # ছবি সংযু
নড়াইল জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
বুলু দাস সদর প্রতিনিধি■ নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর, সম্পাদক মনিরুল বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে নড়াইল জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে,বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সম্মতিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি পত্রে আগামী ২ বছরের জন্য এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী মন্ডল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান, ২নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোর্শেদ তৌহিদ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক (নড়াইল সদর) শাহরিয়ার রিজভী জর্জ। নবগঠিত কমিটির সভাপতি বিশ্বাস জাহঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ নতুন কমিটি ঘোষণার বিষয়টি বুধবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং আব্দুল কাদের সিকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্বের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ছবি সংযুক্ত
নড়াইলে ছাত্রমৈত্রীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ (৭-ডিসেম্বর-২৭৪):
সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ বিরোধী লড়াই অব্যহত রাখো, জন গণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে চলো এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নড়াইলে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, গতকাল এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী নড়াইল জেলা শাখার আয়োজনে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) নড়াইল শহরে র্যালি, কেক কাটা ও আলোচনা সভা হয়। র্যালি শেষে প্রজন্ম চত্বরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নড়াইল-২ আসনের সাংসদ ও জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান। ছাত্রমৈত্রী নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি রছিকুল ইসলাম রছিক এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রতিক বিশ্বাস সাধনের সঞ্চালনয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, মলয় কান্তি নন্দী, মোরতজা, লাকিতুল্লাহ লাকি প্রমুখ এ সময় ছাত্রমৈত্রী, যুবমৈত্রী’র বিভিন্ন শাখার সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণি পেশা সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।# ছবি সংযুক্ত
নড়াইলের লোহাগড়া হানাদারমুক্ত হয় ৮ ডিসেম্বর
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■(৭ডিসেম্বর-২৭৪): নড়াইলের লোহাগড়া ৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস। মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে নড়াইলের লোহাগড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে থানা আক্রমণ করে নড়াইলের লোহাগড়াকে পাক হানাদারমুক্ত করেন। সর্বত্র পত্ পত্ করে উড়তে থাকে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। স্বর্তঃস্ফূর্ত বিজয় উল্লাসে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মুক্তিপাগল জনতা। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে,বিএনপির ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের শুরুতেই নড়াইলের লোহাগড়া থানার অধিকাংশ এলাকা পাক হানাদারমুক্ত হয়। এ সময় স্থানীয় রাজাকাররা থানায় আশ্রয় নেয়। পুলিশ এবং রাজাকাররা মিলে থানা অভ্যন্তরে অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিশাল মজুদ গড়ে তোলে। মধ্য নভেম্বরে মুক্তিযোদ্ধারা লোহাগড়া থানা আক্রমণের চূড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এ জন্য মুক্তিযোদ্ধা শরীফ খসরুজ্জামানের উপস্থিতিতে ২ ডিসেম্বর নোয়াগ্রাম ইউপির আড়পাড়া গ্রামের বাবু মীরের বাড়িতে এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গ্রুপ কমান্ডার ইমান আলী, ওয়ালিয়ুর রহমান, নুর মিয়াসহ ৩০-৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, মাকড়াইলের কবির হোসেনের নেতৃত্বে কমান্ডার শেখ ইউনুস আলী, লুৎফর বিশ্বাস, রওশন গাজী, আবুল হোসেন খোকনসহ ৪০-৪৫ জনের একদল মুক্তিযোদ্ধা গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নড়াইলের লোহাগড়া থানা আক্রমণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নড়াইলের লোহাগড়া ৮ ডিসেম্বর ফজরের আজানের সঙ্গে সঙ্গে শরীফ খসরুজ্জামান, কবির হোসেন, শেখ ইউনুস আলী, লুৎফর বিশ্বাস, আবুল হোসেন খোকন, মাসুম জমাদ্দারের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা চার ঘণ্টাব্যাপী গেলিরা আক্রমণের মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনী পরাস্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে থানার সামনে উপজেলার কোলা গ্রামের হাবিবুর রহমান ও যশোর সদর উপজেলার জঙ্গল বাঁধাল গ্রামের মোস্তফা কামাল শহীদ হন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ২২ জন পুলিশসহ স্থানীয় রাজাকাররা আটক হয়। শহীদ হাবিবুর রহমানকে লোহাগড়া থানায় এবং শহীদ মোস্তফা কামালকে ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে দাফন করা হয়। লোহাগড়া মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শুক্রবার দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, বর্ণাঢ্য র্যালি, শহীদ হাবিবুর রহমানের কবর জিয়ারত, আলোচনা সভা ও মিলাদ মহফিল। ছবি সংযুক্ত
নড়াইলে পুলিশের বিশেস অভিযানে ৩৩০ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার-৬৫
উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি ■ (৭-ডিসেম্বর-২৭৪):
সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসাবে নড়াইলে ৪টি থানায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে থানা পুলিশের বিশেস অভিযানে গ্রেফতার ৪৪। নড়াইল সদর থানা নড়াইলের লোহাগড়া, নড়াইলের কালিয়া নড়াইলের নড়াগাতি থানা মিলে এ ৬৫ জনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ। নড়াইলে ২৪ ঘণ্টায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মামলায় ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশেস অভিযানে ৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, বুধবার থেকে (বৃহস্পতিবার ৭ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলার চারটি থানা এলাকায় পুলিশ এই সাড়াশি অভিযান চালায়। সদর থানায় ডিবি পুলিশের তৎপরতায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি তুলারামপুর গ্রামের সিরিজ বিশ্বাসের ছেলে সুজন (২৮) কে গ্রেফতার করে। এছাড়া নড়াইল সদর থানা পুলিশের অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সড়াতলা গ্রামের হাকিম মোল্যার ছেলে মনির মোল্যা, শেখহাটী গ্রামের মতিয়ার মৃধার ছেলে মানিক মৃধা (২৫) এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি ভওয়াখালী গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে সাকায়েত (৫৪) কে গ্রেফতার করে। অপরদিকে কালিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৩০০ পিচ ইয়াবাসহ চরভাটপাড়া গ্রামের রাজিব শেখ (২৬), ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি পুরুলিয়া গ্রামের মৃত আক্কাস শেখের ছেলে ওমর শেখ (৪৫), বনগ্রামের কায়েম মোল্যার ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (৩০), ৩০ পিচ ইয়াবাসহ রঘুনাথপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন (২৮) কে গ্রেফতার করেছে। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খাঁনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযানে গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত জিআর মামলা, সিআর মামলা, মাদক ব্যবসায়ী, বিভিন্ন ধারাসহ মোট ৬৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের এই সাড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। নড়াইল সদর থানার পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলায় মোট ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে নড়াইল সদর থানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খাঁন জানান, এ সকল আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। আমরা হঠাৎ করে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করায় তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম (অতিরিক্ত ডিআইজি), এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও তিনি এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন# ছবি সংযুক্ত