খবর৭১,জাহিরুল ইসলাম।যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোরে মাত্র দেড় টাকা কেজি দরে পুরান আলু বিক্রি করছেন চাষীরা। অথচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কারণে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না চাষীরা। এছাড়া বিদেশে রপ্তানি কমে যাওয়ায় আলুর দর পড়ে গেছে স্থানীয় বাজারে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার যশোরে আলুর বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৫০ হাজার টাকা খরচে উৎপাদন হয়েছে ১৮০ থেকে ১৯০ মন আলু।
শুরুতে অল্প কিছু বিক্রি করলেও দাম বৃদ্ধির অপেক্ষায় বেশিরভাগ আলু হিমাগারে রাখেন কৃষকরা। কিন্তু হঠাৎ করেই বাজারে আলুর দাম পড়ে যাওয়ায় বর্তমানে ৮০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দেড়শো টাকায় যা আগে বিক্রি হত নয়শ’ থেকে ১২শ’ টাকায়।
চলতি বছর বিদেশে আলু রপ্তানি কমে যাওয়ায় দাম কমেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কারণে আলুর ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষীরা।
উৎপাদন বেশি হওয়ার পাশাপাশি হিমাগারের পুরান আলু বাজারে আশায় দাম কমেছে, বলছে কৃষি বিভাগ।
চলতি মৌসুমে যশোরে আলু চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে আর উৎপাদন হয়েছে ৬৪ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন।
খবর৭১/জি: