মোঃ জহির রায়হান-সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি ( বিআরটিএ) অফিসে দালাল শ্রেনীর লোকের দখলে চলে গেছে অভিযোগ উঠেছে। মটর সাইকেল , হালকা ও ভারী যানবাহনের লাইসেন্স , নম্বর প্লেট , ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি কাজ করার জন্য সমগ্র জেলা হতে সাধারন লোকজন আসে বিআরটিএ অফিসে। অফিসে এসে বোঝার উপায় নাই কে অফিসের লোক আর কে দালাল।
সিরাজগঞ্জ বিআরটিএ অফিসে সরকারী ও অনুমোদিত কর্মচারী ৮ জন । সিরাজগঞ্জ বিআরটিএ অফিসের অফিস সহায়ক ,আব্দুল মতিন জানান- মো আলতাব হোসেন( সহকারী পরিচালক), তারেক হাসান ( মটর যান পরিদর্শক), রুস্তম ( অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর), আব্দুল মতিন ( অফিস সহায়ক), আহমেদ আলী ( টাইগার এডি), লিটন দাস ( টাইগার এডি),রাজু আহমেদ ( ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর), আবু বকর সিদ্দীকী জুয়েল (সিল অপারেটর) ছাড়া যারা আছে তারা সবাই দালাল।
দালালের খপ্পরে পরা একজন ভুক্তভোগী বলেন – “ আমি ঢাকায় একটি বেসরকারী ব্যাংকে কর্মরত আছি। সিরাজগঞ্জ বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য যাই । সেখানে অফিসের চেয়ারে বসা একজন ব্যক্তি, আমার নিকট হতে কাগজপত্র ও ৫ হাজার টাকা নেয় লাইসেন্স করে দেয়ার জন্য কিন্তু আজ পাচ মাসেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাই নাই। পরে স্থানীয় আত্বীয় স্বজনকে জানালে, দালাল আমাকে ১৫০০ টাকা ফেরত দেয়”।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে , বিআরটিএ অফিসের একটু সামনে ক্যান্টিনের চেয়ার টেবিল নিয়ে দালালরা তাদের ভ্রাম্যমান অফিস পরিচালনা করছে। প্রসেসিং, ফর্ম পুরন , প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় পাশ ও ভ্যাট দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার এক মহা উতসব চলছে অফিসের চারিপাশে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বিআরটিএ অফিসে দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান হলেও সিরাজগঞ্জে এমন অভিযান কেন হয় না ? বলে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ জনগনের মনে। কয়েকদিন পুর্বে ঝিনাইদহ বিআরটিএ অফিসে দালালি করার অভিযোগে ফজলুল হক (৫০) ও শহিদুল ইসলাম নামের দুই দালালকে জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাফর সাদিক চৌধুরী এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দালালদের দৌড়াত্ব ও এর প্রতিকার নিয়ে প্রতিবেদক সহকারী পরিচালকের সাথে কথা বলতে গেলে ,তাকে অফিসে পাওয়া যায় নাই। টিএন্ডটি নম্বরে ফোন দিলে অফিস সহায়ক আব্দুল মতিন টেলিফোন ধরে বলে , স্যার অফিসে নাই।
খবর ৭১/ই: