মোঃ আব্দুল হালিম ফুলবাড়ীয়া প্রতিনিধি: শীতকালে সবজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিম। শিম বাগান গুলো এখন গোলাপী সাদা রঙে বিস্তৃণ। ফুলের এমন বিস্তৃণ্যে চাষীরা মহাখুশি। অবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর শিমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষক।
সবজির ভান্ডার হিসেবে পরিচিত উপজেলার বাকতা, কালাদহ, রাঙ্গামাটিয়া,এনায়েতপুর ও কুশমাইল ইউনিয়নের বাজার গুলোতে উঠতে শুরু হয়েছে দেশি শিম। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে বগান থেকে পুরোদমে শিম উঠাবে চাষীরা।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কালাদহ দাশপাড়া, নিজপাড়া, শিবরামপুর, কাল্লাজানি, কালারচর, বাক্তা, চাঁদপুর, রঘুনাথপুর, বিদ্যানন্দ, শ্রীপুর, কাচিচুরা, কুশমাইল, নাওগাও, বালুঘাট, কৃষ্ঠপুর, রাঙ্গামাটিয়া, হাতিলেইট, বাবুলের বাজার, ছিদ্দিকালি, গোপিনাথপুর, রাজঘাট, এনায়েতপুর
এলাকাত কৃষি মাঠ বেশির ভাগই পরিপূর্ণ শিমের মাচায়। বাগান গুলোর দিকে তাকালে গোলাপী সাদা রঙের ফুল আর থোকায় থোকায় ছোট ছোট শিম আর শিম।
কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, এবছর উপজেলায় সবজির চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮শ ৯০ হেক্টর আর এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ১২শ ৫০ হেক্টর। তার মধ্যে শিম বাগান হয়েছে ৩৭৫ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের চেয়ে এবছর ২৫ হেক্টর বেশি।
গতকাল রবিবার কুশমাইল ইউনিয়নের দেওনাইপাড় গ্রামে গিয়ে দেখা যায় কৃষক আঃ কদ্দুছের ৪০ শতাংশ জমিতে বাঁশ ও লাইলনের মোটা সুতা দিয়ে শিমের মাচা। মাচা ভরা সবুজের মধ্যে গোলাপী,সাদা আর নীল রঙের ফুলে অপরূপ দৃশ্য। প্রতিটি শিম গাছের ডগায় অসংখ্য ফুল আর ছোট ছোট শিম ধরে রয়েছে। কৃষক আঃ কদ্দুছ জানান, গত বছর ৪০ শতাংশ জমি ৭ হাজার টাকা বছর ভাড়া নিয়ে শিম আবাদ করেছিলাম। মাচাসহ সব কিছু মিলে খরচ হয়েছিল প্রায় ৪০ হাজার টাকা, খরচ বাদে লাভ হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। এবছর পুরাতন মাচায় শিম আবাদ করেছে শেষ পর্যন্ত খরচ হবে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা, আবহাওয়া ভালো থাকলে এবছর লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবে বলে আশা করছেন তিনি। কালাদহ গ্রামের শিম চাষী আঃ সালাম জানান, ৬০ শতাংশ শিমের বাাগান থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ কেজি শিম উত্তোলন করে প্রায় ২ হাজার টাকা বিক্রি করেছে। শুরুতে বাজার দর বেশি পাওয়ায় তিনি মহাখুশি। তিনি আরও বলেন, এবছর শিমের মাচায় অন্যান্য বছরের চেয়া ফুলের পরিমান অনেক বেশি। প্রাকৃতি দূর্যোগ না হলে শেষ পর্যন্ত শিম বাগান থেকে প্রায় দেড়লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার ড. নাসরিন আক্তার বানু বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে উদ্ভুদ্ধ করায় রাসায়নিক সারের পরবির্তে জৈব সার ব্যবহার করছে কৃষক। তাতে সবজি চাষে খরচ কম হয়, ফলন হয় ভাল। শৈত প্রবাহ গ্রাস না করলে এবছর শিমের ফলন হবে অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি। শেষ পর্যন্ত অবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলায় সবজি বাম্পার ফলন হবে আশা করছি।
খবর ৭১/ ই: