খবর৭১:গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকাল ৩ টার দিকে উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের বারমাইল সেখেরপাড়া গ্রাম থেকে লাশ দুইটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ বলছে, স্বামী-স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতরা হলেন, ঐ গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সামিউল ইসলাম সনি (২৫) ও তার স্ত্রী জিন্নাতুন নেসা নিপা (২১)। সামিউল ইসলাম সনি উপজেলার প্রেমতলী বাজারে মুঠোফোন মেরামতের কাজ করতেন। আগের দুই স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ১০ মাস আগে উপজেলার ফরাদপুর স্কুল পাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে জিন্নাতুন নেসা নিপাকে বিয়ে করে। স্থানীয় সুত্র জানায়, সামিউল ইসলাম সনি আগের দুই স্ত্রী ও জিন্নাতুন নেসা নিপার সঙ্গে প্রেমের মাধ্যমে বিয়ে হয়। সামিউল ইসলাম সনি মাদকাশক্ত ছিল। আর এই কারণে আগের দুই স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। প্রতিবেশীরা জানান, সামিউল ইসলাম সনি স্ত্রী জিন্নাতুন নেসা নিপা খাতুন কে নিয়ে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তবে মাঝে মধ্যে জিন্নাতুন নেসা নিপার সঙ্গে তার শাশুড়ীর ঝগড়া হতো। এই নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাগ করে জিন্নাতুন নেসা নিপা তার পিতার বাড়ীতে চলে যায়। গত দুইদিন আগে আবারও স্বামীর বাড়ীতে আসে জিন্নাতুন নেসা নিপা। গতকাল রোববার দুপুর ২ টার দিকে সামিউল ইসলাম সনির খালা তাদের বাড়ীতে গিয়ে দেখে সনির বাবা মা বাড়ীতে নেই। সনির ঘরে ঢুকে দেখেন তাদের স্বামী-স্ত্রীর লাশ। এ সময় এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে। এ প্রসঙ্গে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসা ইনচার্জ (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি জানান, নিপার লাশ ঘরের মেঝেতে পড়েছিল। আর নিপার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সনির লাশ ঝুলছিল ঘরের তীরের সাথে। নিপার গলাতেও ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। তাই ধারনা করা হচ্ছে নিপা প্রথমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে এবং পরে সনি স্ত্রীর লাশ নামিয়ে নিজে আত্মহত্যা করে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করলো স্বামী-স্ত্রী তা নিশ্চিত হতে পারে নি পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে সামিউল ইসলাম সনির বাবা-মা পলাতক রয়েছে। ওসি আরও জানায়, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
খবর৭১/জি: