কেনেডি হত্যার গোপন ফাইল প্রকাশ্যে আনবেন ট্রাম্প

0
490

খবর৭১: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যা সংক্রান্ত দীর্ঘদিন গোপন রাখা ফাইলের ভাণ্ডার উন্মুক্ত করে দেবার পরিকল্পনা নিয়েছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট এক টুইট বার্তায় বলেন, আরও কিছু তথ্য হাতে পাবার পর তিনি এই ফাইলগুলো প্রকাশের অনুমতি দেবেন।

আমেরিকার ন্যাশানাল আর্কাইভসের এই নথিপত্রগুলো ২৬ অক্টোবর খোলার কথা রয়েছে। তবে এগুলোর গোপনীয়তা রক্ষার মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার ইখতিয়ার প্রেসিডেন্টের রয়েছে।

১৯৬৩ সালের নভেম্বর মাসে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসে গুপ্তঘাতকের গুলিতে প্রাণ হারান জন এফ কেনেডি। আমেরিকার ন্যাশানাল আর্কাইভস ইতিমধ্যেই তার হত্যা সংক্রান্ত বেশিরভাগ নথি জনগণের দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। শুধু শেষ কিছু ফাইল এখনও তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার টুইটে লিখেছেন, ‘আরও কিছু তথ্য পাওয়ার পর, প্রেসিডেন্ট হিসাবে, আমি জন এফ কেনেডির মৃত্যু সংক্রান্ত ফাইলগুলো উন্মুক্ত করে দেবার অনুমতি দেব।’

১৯৯২ সালে মার্কিন কংগ্রেস রায় দিয়েছিল কেনেডি হত্যার সব নথি ২৫ বছরের মধ্যে উন্মুক্ত করে দিতে হবে। যদি না প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নেন যে এসব নথি উন্মুক্ত করে দিলে তা জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে। জাতীয় আর্কাইভে ওই হত্যা সংক্রান্ত তিন হাজারের বেশি নথি আছে যা আগে কখনও প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া ৩০ হাজারের বেশি নথি আগে প্রকাশ করা হয়েছে, তবে সেগুলো কাটছাঁট বা সম্পাদনা করে।

এখনও গোপন রাখা নথিগুলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেবেন নাকি সেগুলো সম্পাদনা করে প্রকাশ করা হবে তা স্পষ্ট নয়।

ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুযায়ী, কেনেডির হত্যা বিষয়ে যারা বিশেষজ্ঞ তারা মনে করেন না যে এখনও অপ্রকাশিত দলিলে বড় ধরনের বিস্ফোরক কোন তথ্য আছে। তবে ওই ফাইলগুলো প্রকাশ করা হলে কেনেডি হত্যার ঠিক আগে ১৯৬৩ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে লি হার্ভি অসওয়াল্ড মেক্সিকো সিটিতে কী করছিলেন সে বিষয়ে হয়ত কিছুটা আলোকপাত হবে।

গুলি করার দিন লি হার্ভি অসওয়াল্ডকে ডালাসে গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রেসিডেন্টকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। অসওয়াল্ড হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন ”তাকে ব্যবহার করা হয়েছে”।

ঘটনার দুইদিন পর পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন নাইটক্লাবের মালিক জ্যাক রুবির গুলিতে প্রাণ হারান অসওয়াল্ড এবং কেনেডি হত্যাকাণ্ড আমেরিকান ইতিহাসে সবচেয়ে মুখরোচক ও বিশাল এক ষড়যন্ত্র তত্ত্বে রূপ নেয়।

ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার সেন্টার ফর পলিটিক্সের পরিচালক এবং কেনেডিকে নিয়ে একটি বইয়ের লেখক ল্যারি সাবাতো বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ”আমেরিকার মানুষ সত্য জানতে চায়, অন্তত তাদের এটুকু জানার অধিকার আছে যে মার্কিন সরকার এত বছর ধরে মানুষের কাছ থেকে কি তথ্য লুকিয়ে রেখেছে। সঠিক তথ্য জানানোর জন্য আর দেরি করা উচিত নয়।”
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here