বিজয় দিবসের দিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বুধবার রাত ৮টায় রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
জাহিদ বলেন, বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হযেছে।
এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর থেকে হাসপাতালে যাওয়া আসা ছাড়া প্রকাশ্যে দেখা যায়নি বিএনপি চেয়ারপারসনকে। এর বাইরে কখনো বাসা থেকে বের হননি। রাজনৈতিক কর্মসূচি বা কোনো ধরনের অনুষ্ঠানেও তাকে দেখা যায়নি।
সরকার পতনের পর গত অগাস্টে তিনি পুরোপুরি মুক্ত হন। এরপর গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছয় বছর পর প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায় তাকে। সেদিন সেনানিবাসে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
এক যুগ পর ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতারা। প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন; তারা বসেছিলেন পাশাপাশি।
এবার খালেদা জিয়া ও লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানসহ বিএনপির নেতাদের বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান হল।
তবে জরুরি অবস্থার সময় ২০০৮ সালে সপরিবারে লন্ডনে যাওয়ার পর থেকে সেখানে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন তারেক।