বিএনপির ঢাকা-আগরতলা লংমার্চ চলছে

0
7

ঢাকা: বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান ‘তথ্য সন্ত্রাস’ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে ঢাকা-আগরতলা লংমার্চ শুরু করেছে বিএনপি।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়। বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এ কর্মসূচি পালন করছে।

ঘোষিত রুট অনুযায়ী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া লংমার্চ পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠবে। এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাবো-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে। সেখানে পথসভার পর লংমার্চ আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা দেবে।

লংমার্চ শুরুর আগে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ে জড়ো হন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ছবি: সারাবাংলা

লংমার্চ শুরুর আগে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, প্রধান বক্তা ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

এর আগে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন কার্যালয়ে জড়ো হন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে হাতে ছিল নানা রঙের ফেস্টুন, পোস্টার, ব্যানার ও ডিসপ্লে পেপার।

‘দিল্লি না ঢাকা না দিল্লি, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের আগ্রাসন, বন্ধ করো বন্ধ করো’, ‘ভুটান না সিকিম না, এ দেশ আমার বাংলাদেশ’, ‘রক্তে কেনা স্বাধীনতা, ভারতের আধিপত্য মানি না’, ‘প্রতিবেশী বন্ধু চাই, প্রতিবেশী প্রভু নয়’— এ রকম স্লোগান লেখা ফেস্টুন-পোস্টার উঁচিয়ে স্লোগান দেন তারা। হাজার হাজার নেতাকর্মীর স্লোগান প্রকম্পিত হয় নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনের সড়ক।

জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত এ লংমার্চে পাঁচ শতাধিক মাইক্রোবাস, সেডান কার ও জিপে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া যাত্রাপথের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে লংমার্চের গাড়ির বহরে যোগ দেবে আরও কয়েক শ গাড়ি।

এদিকে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, লংমার্চ ভৈরব মোড়ে পৌঁছানোর পর সেখানে একটি পথসভা হবে। পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না।

এ ছাড়া আখাউড়া স্থলবন্দরে হবে লংমার্চ পরবর্তী সমাপনী সমাবেশ। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।

শায়রুল কবির খান আরও জানান, আখাউড়া পৌঁছানোর আগে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হবেন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here