দ. কোরিয়ায় নাটকীয়তা, সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

0
8

সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। এ বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটের পর তিনি জানান, সামরিক আইনের অবসান ঘটাতে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ আইন প্রত্যাহার করা হবে। খবর রয়টার্সের।

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইওল বলেন, পার্লামেন্টের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি সামরিক আইন প্রত্যাহারের কথা সামরিক বাহিনীকে জানিয়েছি। পার্লামেন্টের প্রস্তাব গ্রহণ ও সামরিক আইন প্রত্যাহার করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠক করছে। বৈঠকের পর সামরিক আইন তুলে নেয়া হবে।

এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতে কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দেশে সামরিক আইন জারি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। তিনি বলেন, দেশের মুক্ত ও সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া তার আর কোনো উপায় ছিল না। তিনি অভিযোগ করেন যে বিরোধী দলগুলো সংসদীয় প্রক্রিয়াকে জিম্মি করে দেশকে সংকটে ফেলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমি উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হুমকি থেকে মুক্ত কোরিয়ান প্রজাতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, আমাদের জনগণের স্বাধীনতা ও সুখ লুটে নেয়া নিকৃষ্ট উত্তর কোরিয়াপন্থী রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলো নির্মূল করার জন্য এবং মুক্ত সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সামরিক আইন জারি করছি।

তবে হঠাৎ সামরিক শাসন জারির আদেশ মেনে নেননি দক্ষিণ কোরিয়ার এমপিরা। সামরিক আইন জারির পর দেশটির পার্লামেন্ট ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের দাবিতে তাদের স্লোগান দিতে শোনা যায়। একপর্যায়ে কিছু সময়ের জন্য পার্লামেন্ট ভবনে সেনাবাহিনীও প্রবেশ করে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেও রাতেই নিরাপত্তা বাহিনীকে এড়িয়ে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে সক্ষম হন ১৯০ জন আইনপ্রণেতা। তারা সামরিক আইন জারির বিরুদ্ধে ভোট দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here