পলিথিন মুক্ত মার্কেটে পুরস্কার ঘোষণা করা হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

0
31

আগামী ৩১ ডিসেম্বর এর মধ্যে যেসব মার্কেট সম্পূর্ণ পলিথিন মুক্ত হবে তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

একইসঙ্গে প্লাস্টিক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নিয়ে সবাইকে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও পরিবেশ অধিদফতরে আয়োজিত পলিথিন শপিংব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাথে এক সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদেরকে জাতি হিসেবে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা নানান যুক্তি তর্ক দিয়ে পলিথিন শপিং ব্যাগ মার্কেটে রাখবো? নাকি পলিথিন শপিং ব্যাগ থেকে আমরা সরে আসবো। যদি আপনারা বুঝে থাকেন যে পলিথিন শপিং ব্যাগ ১০০ বছরেও মিশবেনা। ওটা থেকে ভেঙে ভেঙে মাইক্রো প্লাস্টিক হবে সেটা আপনার সন্তানের বর্তমান সেটা আপনার সন্তানের শরীরে প্রভাব ফেলবে। গতকাল মানবজমিনে একটা আর্টিকেল ছিল এর শরীর থেকে আপনার শরীরে মাইক্রো প্লাস্টিক যাচ্ছে। আমরা সেটায় যাব নাকি আমরা নানান যুক্তিতর্ক বাদ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিব যে আমরা পলিথিন শপিং ব্যাগে যাব না। কোনটা করবো এটা ঠিক করতে হবে আমাদের। আরেকটা কথা হচ্ছে বাংলাদেশে পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প খুঁজবেন না। আপনারা নিজেরা, প্রত্যেকের বাবারা চিন্তা করেন আগে বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাজারে যেত। ফিরে এসে সেটা ধুয়ে ফেলত। এখন কেন এত তর্ক-বিতর্ক শুনতে হচ্ছে। ২০০০ সালে একটা নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আমরা আর কতদিন সময় দেবো সেই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে। যদি সেই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন হয় তো এখনই হবে। হবে না এটা কোন উত্তরই হতে পারে না।

তিনি বলেন, একজন বলেছেন এর আগে পলিথিন শপিং ব্যাগ উঠে গিয়েছিল। কেন উঠে গিয়েছিল সেটা জানেন? ব্যবহারকারীর জায়গায় গিয়ে হানা দেয়া হয়েছিল। উৎপাদনকারীরা গোপনে উৎপাদন করে, আপনি সেটা কিনেন না। উৎপাদন তো শুধু নিষিদ্ধ না ব্যবহারও তো নিষিদ্ধ। বিক্রিও নিষিদ্ধ কেনাও নিষিদ্ধ। আপনি কেনেন কেন? আপনি বিক্রি করেন কেন? এটা আপনারও দায়িত্ব যে আপনি পলিথিনের ব্যাগ নিবেন না।

একটা জিনিস খেয়াল করেছেন অভিযান বনাম ইন্সেন্টিভ। আমরা এখনো তো অভিযান করিনি। আমরা প্রথম শুরু করেছি সুপারমলগুলো দিয়ে। যাইহোক আমরা পলিথিনের বিকল্প পাট, চট এগুলো দিয়েই করব। তাহলে আমাদের দেশীয় শিল্প উঠে আসবে। এখন আপনি আমাকে বলবেন যে বায়োপ্লাস্টিক, বায়ো প্লাস্টিকের নামে কিন্তু প্লাস্টিক আছে। বায়োপ্লাস্টিকের যারা উদ্ভাবক আছেন আমি তাদেরকে আশ্বস্ত করছি আমরা আপনাদের নিয়ে বসব। যেটা আমরা একেবারেই নিরাপদ মনে করব শুধুমাত্র সেটা সীমিত পরিসরে কোন কোন জিনিসের ক্ষেত্রে সেটা দেয়া যায় কিনা সেই বিষয়ে আমরা চিন্তা করব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here