রাজধানীর হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় ঘরে ঢুকে দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে (৩২) হত্যার ঘটনায় বিএনপি নেতা রবিউল আলমের সংশ্লিষ্ট পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের ডিসি রুহুল কবির খান।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মামুন এবং বিএনপি নেতা ও প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের কর্নধার শেখ রবিউল আলমের সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
রুহুল কবির খান জানান, জমির মালিককে প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের পাঁচটি ফ্ল্যাট দেয়ার চুক্তি থাকলেও, তারা দুটি হস্তান্তর করেছে। বাকি তিনটির মধ্যে একটি ফ্ল্যাট অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মামুনের শ্বশুরের কাছে বিক্রি করে প্লিজেন্ট প্রোপার্টিসের কর্নধার শেখ রবিউল আলম। ফ্ল্যাটটি তারা অবৈধভাবে জবরদখল করে রেখেছিল। যা নিয়ে গত তিন বছর ধরেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার মহানগর প্রজেক্টের চার নম্বর রোডের ডি- ব্লকের বাড়ির আটতলার একটি ফ্ল্যাটে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলামকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই আশপাশের লোকজন তামিমকে উদ্ধার করে মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের অভিযোগ, নিজেদের জমিতে নির্মিত অ্যাপার্টমেন্টে ফ্ল্যাট পাওয়া নিয়ে ডেভেলপার কোম্পানি প্লিজেন্ট প্রোপার্টিজ লিমিটেডের সঙ্গে তামিমদের বিরোধ চলছিল।
এ ঘটনায় ১৬ জনের নামে মামলা করেছে পরিবার, যার মধ্যে তিন নম্বর আাসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আব্দুল লতিফ (৪৬), কুরবান আলী (২৪), মাহিন (১৮), মোজাম্মেল হক কবির (৫২) ও বাঁধন (২০)।