শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রেখে অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে মনে করছে বিএনপি। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যদের পদ বাতিলের আহ্বান করেছে দলটি।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির স্থানী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করে দলটি। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গুলশান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
সভার বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য জেলাগুলোতে উদ্ভুত সংঘাতের ঘটনাগুলোতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার সুদূর প্রসারী চক্রান্তের অংশ হিসেবে এই ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ রূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই ঘটনা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ। এই ঘটনাগুলো হালকা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। সভা মনে করে, পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি স্থাপনের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, পার্বত্য জেলায় সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের একটি জাতীয় কনভেনশন আহ্বান করা জরুরি। সভায়, এই লক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায়, পতিত ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও ‘মবলিংচিং’ এর মত ঘটনা ঘটিয়ে শিল্পাঞ্চল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে। সভা মনে করে, এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগে সকল গণ-মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার-প্রচারণা বাড়ানো প্রয়োজন। সভায় এসব সমাজবিরোধী এবং ঐক্যবিনাশী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি বলে উল্লেখ করে।
সম্প্রতি ‘বাংলাদেশি অনু প্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে’ বলে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে, হুমকি দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা করা হয় এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অন্তরায় হিসেবে কাজ করার বিষয় ভারতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতৃবৃন্দকে এই ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই ধরনের মন্তব্যে কঠোর সমালোচনা এবং বিরত থাকার আহ্বান জানানোয় সভায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।