স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস উপলক্ষে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত কর্মসূচি ‘শহীদি মার্চ’ থেকে পাঁচটি দাবি জানানো হয়েছে। সন্ধ্যায় র্যালি শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৫ দফা দাবি পেশ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।
দাবির মধ্যে আছে-
১.গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে
২.শহীদ পরিবারদের আর্থিক ও আইনি সহযোগিতা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করতে হবে।
৩.প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চিহ্নিতকরে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে
৪.গণভবনকে কে জুলাই স্মৃতি যাদুঘর ঘোষণা করতে হবে এবং
৫.রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।
বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজুর ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এই মার্চ শুরু হয়। লাখো ছাত্র-জনতা শহীদি মার্চে অংশগ্রহণ করেন। শহীদি মার্চ নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড ধরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে দুপুর থেকেই রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ৩টা ২০ মিনিটের দিকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে টিএসসি এলাকা।