সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের ধারাবাহিকতায় ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১.২৫ টাকা কমানো হয়েছে। পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারে ৬ টাকা করে কমানো হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল্লাহ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন করে পুনর্নির্ধারিত/সমন্বয়কৃত দাম শনিবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিদ্যমান বিক্রয়মূল্য ১০৬.৭৫ টাকা/লিটার হতে ১.২৫ টাকা কমিয়ে ডিজেল ১০৫.৫০ টাকা/লিটার, কেরোসিন ১০৫.৫০ টাকা/লিটার ও পেট্রোলের বিদ্যমান মূল্য ১২৭ টাকা/লিটার থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২১ টাকা/লিটার এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১৩১ টাকা/লিটার থেকে ৬ টাকা কমিয়ে ১২৫ টাকা/লিটারে পুনর্নির্ধারণ/সমন্বয় করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে খুলনার খালিশপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানও জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, আজ রাত ১২টার পর থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
এর আগে ২৮ আগস্ট পেট্রোবাংলায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ও অধিদফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ফাওজুল কবির খান জানিয়েছিলেন, দেশের মানুষ যাতে কম দামে তেল কিনতে পারে, সেটি মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তেলের দাম নির্ধারণের কথা ভাবা হচ্ছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাহী আদেশে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিধান বাতিল করে অধ্যাদেশ জারি করে। ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩’ সংশোধন করে অধ্যাদেশে নির্বাহী আদেশে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ৩৪ (ক) ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে। ফলে গণশুনানির মাধ্যমেই এসবের দাম নির্ধারণ হবে বলে জানানো হয়েছে।