‘স্বৈরাচার’ উৎখাত করায় আন্দোলনকারীদের পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের অভিনন্দন

0
22

দেশ থেকে ‘স্বৈরাচার’ উৎখাত করার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল সৈনিকদের অভিনন্দন জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল সৈনিকদের অভিনন্দন জানাই দেশ থেকে স্বৈরাচার উৎখাত করার জন্য। পাশাপাশি আন্দোলনে নিহত প্রতিটি ছাত্রের রুহের মাগফেরাত কামনা করি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আমরাও চাকরি জীবনে বৈষম্যের শিকার। দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হয়েছে। তাই আজ কথা বলার সুযোগ পেয়ে আবারও সকল ছাত্র-জনতাকে বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে রক্তিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, সারাদেশে শত শত পুলিশ ইতোমধ্যে শাহাদাত বরণ করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি এগুলো কোনো ছাত্রদের কাজ নয়। নিঃসন্দেহে কোনো দুষ্কৃতকারীদের কাজ। দেশবাসী আমাদেরকে অর্থাৎ পেশাগত বাহিনী পুলিশকে তাদের শত্রু মনে করে। আমরা পুলিশ জনগণের সেবক।
তারা আরও জানায়, রাষ্ট্র যে আইন তৈরি করে তা বাংলাদেশ পুলিশের মাধ্যমে রাষ্ট্র প্রয়োগ করে থাকে এবং আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে জনসাধারণের সঙ্গে রোষের সৃষ্টি হয়। প্রকৃতপক্ষে আমরা নিয়োগের শুরু থেকেই সার্জেন্ট/সাব-ইন্সপেক্টরসহ নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিনিয়র অফিসারদের অথবা রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থ হাসিলের বাহক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হই সেটা বৈধ হোক আর অবৈধ হোক, যেকোনো আদেশই পালন করতে হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমাদের অফিসাররা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দলীয় পরিচয়ে দুষ্ট। বর্তমান কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ যেকোনো আন্দোলনে কোনো সাধারণ মানুষকে সরাসরি গুলি করতে না চাইলেও সেটা বাধ্য হয়ে করতে হয় দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য। আমাদেরকে দেশবাসীর কাছে ভিলেনে রূপান্তরিত করা হয়। আমরা কোটা সংস্কারের মতো পুলিশ বাহিনীর সংস্কার চাই।

পুলিশ বাহিনী হিসেবে নিরীহ ছাত্রদের সঙ্গে যে অন্যায় করেছে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, আমরা প্রতিটি পুলিশ সদস্য আপনাদেরই কারও না কারও ভাই-বোন-বন্ধু-বাবা-মা বা আত্মীয়-স্বজন। আমরাও আপনাদের সমাজেরই অংশ। দেশের যে কোনো বিপদে অতীতের মতোই আপনাদের পাশে পাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here