ভিকারুননিসার ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলই থাকবে: আপিল বিভাগ

0
52

বয়সসীমা লঙ্ঘিত হওয়ায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (১৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। এর ফলে এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলই থাকছে।

২০২৪ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বিভিন্ন শাখায় প্রথম শ্রেণিতে এই ১৬৯ শিক্ষার্থীকে ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি আবেদন করেছিলেন। ওই আবেদনে সাড়া না পেয়ে তারা ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট দরখাস্তটি ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় এবং রুল জারি করে।

হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) তাদের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে উপস্থাপন করে। সেখানে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চারটি শাখায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে জরুরিভিত্তিতে মাউশিকে অবহিত করতে বলা হয়।

ওইদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মাউশির ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিষয়ে হলফনামা আকারে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে ৬ মার্চের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। গত ২০ মার্চ আপিল বিভাগ ১৬৯টি শূন্য আসনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি করাতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশে স্থিতাবস্থা দেয় এবং দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে এ সংক্রান্ত জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই আদেশের প্রেক্ষিতে গত ২১ মে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তি হওয়া প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে রায় দেয়। এ রায় স্থগিত চেয়ে ১৬৯ ছাত্রীর পক্ষে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রায় এলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here