রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের ওপর গড়ে তোলা পশু খামার সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসি।
সম্প্রতি কোটি টাকার ‘অভিজাত’ গরু এবং ‘১৫ লাখ টাকার’ খাসি নিয়ে আলোচিত এ খামারের অবৈধ অংশ উচ্ছেদে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালায় ডিএনসি।
ডিএনসিসি অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
এ সময় মোতাকাব্বির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালের জায়গার ওপরে যারাই স্থাপনা করবে সেসব ভেঙে দেয়া হবে। সাদিক অ্যাগ্রোর স্থাপনার কিছু অংশ খালের ওপরে পড়েছে। সেসব ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’
উচ্ছেদের সময় খামারের মালিক ইমরান হোসেনকে সেখানে দেখা যায়নি। তাছাড়া উচ্ছেদের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি কোনো কর্তাব্যক্তি কথাও বলতে চাননি।
তবে খামারটির এক কর্মচারী জানান, সাদিক অ্যাগ্রোর এটা নিজস্ব সম্পত্তি না। মালিক এটা ভাড়া নিয়েছেন।
এদিকে অভিযানের খবর পাওয়ার পর বুধবার রাতেই বেশকিছু গরু এবং খাল ও সড়কের জায়গার অস্থায়ী কিছু স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে সাদিক অ্যাগ্রো কর্তৃপক্ষ।
মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ সড়কের পাশের সাদিক অ্যাগ্রো করতে গিয়ে ডিএনসিসির খালের জায়গা দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওই জমি উদ্ধারে বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান হতে পারে বলে গত বুধবার জানিয়েছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ।
সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক ইমরান হোসেন গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি।
এ বছর কোরবানি ঈদের সময় সাদিক এগ্রো থেকে ইফাত নামের এক তরুণের ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগল কেনার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে আলোচনা শুরু হলে জানা যায় ওই তরুণ এনবিআরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের ছেলে।
পরে মতিউরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
আলোচনার মধ্যেই কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকেও সরানো হয়েছে তাকে।
এছাড়া মতিউর ও তার পরিবারের সব বিও হিসাব অবরুদ্ধ এবং তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।