হার্ভার্ডের সমীক্ষা
হার্ভার্ড শিক্ষাবিদদের একটি সমীক্ষা অনুসারে এলিয়েনরা নাকি আমাদের মধ্যেই বসবাস করছে।হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির হিউম্যান ফ্লোরিশিং প্রোগ্রামের একটি সমীক্ষা পরামর্শ দেয় যে, অজানা বায়বীয় ঘটনা (ইউএপি), যা সাধারণত ইউএফও নামে পরিচিত, বহির্জাগতিক প্রাণীর উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে। গবেষকরা তথাকথিত ‘ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস’ নিয়ে তদন্ত করেছেন। ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালরা চার প্রকারের হতে পারে। প্রথম প্রকার হলো- হিউম্যান ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস। মনে করা হয়, পৃথিবীতে প্রাচীনকালে এক প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত মানব সভ্যতা ছিল। বহুকাল আগে তা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সেই সভ্যতার কয়েকজন এখনও টিকে আছে এবং বর্তমান মানব সভ্যতার মধ্যে মিশে আছে। দ্বিতীয় প্রকার হলো- হোমিনিড বা থেরোপড ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস।
প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত কিন্তু অ-মানব কোনও সভ্যতার প্রাণীরা আজও গোপনে এই পৃথিবীতে বসবাস করতে পারে। এরা বানরের মতো হোমিনিড বা অজানা কোনও বুদ্ধিমান ডাইনোসরের বংশধর হতে পারে। তৃতীয় প্রকার হলো-প্রাচীন ভিনগ্রহী বা এক্সট্রাটেম্পেস্ট্রিয়াল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস। এই প্রাণীরা মহাজগতের অন্য কোনও গ্রহ থেকে বা ভবিষ্যতের পৃথিবীতে থেকে বর্তমানের পৃথিবীতে এসে থাকতে পারে।
চাঁদের মাটির নীচের মতো জায়গায় লুকিয়ে থাকতে পারে এরা। আর চতুর্থ প্রকার হলো- ম্যাজিক্যাল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হিউম্যান ফ্লোরিশিং প্রোগ্রাম’ এর একদল গবেষক দাবি করেছেন যে , এই পৃথিবীতেই রয়েছে আমাদের বহু-প্রত্যাশিত এলিয়েন বা ভিনগ্রহী প্রাণীরা। তবে আমরা তাদের চিনতে পারছি না। কারণ তারা ছদ্মবেশে থাকছে। হয়তো মানুষের বেশেই রয়েছে তারা। তাই তাদের চিনতে আরও অসুবিধা হচ্ছে আমাদের।গবেষণাপত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব রয়েছে এবং তারা হয়তো মাটির নীচে, চাঁদে কিংবা পৃথিবীতে মানুষের ভিড়ে মিশে আছে।
গবেষণায় ইউএফও বা আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্টস ধারণা নিয়েও অনুসন্ধান করা হয়েছে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘অজ্ঞাত অস্বাভাবিক ঘটনা’, অর্থাৎ, ইউএফও বা ভিনগ্রহীরা চাঁদের মাটির নীচে, এমনকি, মানুষের মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে। আর মাঝে-মাঝেই যে অজানা বায়বীয় ঘটনার সম্মুখীন হন পৃথিবীর মানুষ, ইউএফও দেখার দাবি করেন, তা সত্যি সত্যিই ভিনগ্রহীদের স্পেসশিপ হয়ে থাকতে পারে। সম্ভবত, পৃথিবীতে যে ভিনগ্রহীরা থাকে, তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে তারা। গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, এই বিষয়ে অসংখ্য প্রমাণ এবং তত্ত্ব রয়েছে। গবেষকরা বলেছেন, তাদের এই গবেষণা ‘অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের কাছে সন্দেহজনকভাবে বিবেচিত হতে পারে’। তবে তারা বিজ্ঞানীদের খোলামেলা মনোভাব নিয়ে’ তাদের দাবি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড