বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে দৈনিক দিনকাল পত্রিকার সাংবাদিক-শ্রমিক ও কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ দৈনিক দিনকাল কার্যালয়ের সামনে তারা এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাওনা পরিশোধ করা না হলে আগামী ১১ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফের মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে তারা। এ কর্মসূচি থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
দৈনিক দিনকাল সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারী সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান মোহনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, দৈনিক দিনকালের সিটি এডিটর আলী মামুদ, সহকারী সম্পাদক জহির চৌধুরী, সিনিয়র সহ সম্পাদক আব্দুস সেলিম, ডিইউজে দিনকাল ইউনিটের ডেপুটি ইউনিট চিফ বাবুল খন্দকার, দৈনিক দিনকাল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীসহ অনান্যরা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দিনকাল কর্তৃপক্ষ ঈদের আগে সমস্যা দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলেও গত তিন সপ্তাহেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
দৈনিক দিনকালের সাংবাদিক কর্মচারীদের গত একবছর ধরে বেতন ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া করোনার সময় চার মাসের বেতন ও উৎসব ভাতা বকেয়া রয়েছে।
সরকার ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর দিনকালের ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করে। এরপর প্রেস কাউন্সিলে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পত্রিকাটি চালু ছিল। প্রেস কাউন্সিলের রায়ে সরকারের আদেশ বহাল রেখে পত্রিকাটি নিয়মমাফিক প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং কর্মরত সাংবাদিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা চালিয়ে যেতে বলা হয়।
কিন্তু দিনকাল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ একবছর ধরে সাংবাদিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিচ্ছে না। আবার পাওনাকড়িও পরিশোধ করছে না। ফলে বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে পত্রিকাটির সাংবাদিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।