শুধু সরকারের সিদ্ধান্তে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী গুম হয়নি বলে মনে করেন দলটির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর গুমের আজ ১২ বৎসর পূর্ণ হলো। তাকে ফিরে পাওয়ার অধীর অপেক্ষায় আজও প্রহর গুনছেন তার স্ত্রী-সন্তান-পরিবারসহ দেশের অগণিত নেতাকর্মী।
রিজভী বলেন, ইলিয়াস আলীকে গুম করার ঘটনা কাকতালীয় বিষয় বা তাকে গুম করা শুধু সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল বলে আমরা মনে করি না। আমাদের বুঝতে হবে কী কারণে তিনি গুম হলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে তার সোচ্চার অবস্থানের কারণে ইলিয়াস আলী আজ অদৃশ্য। যারা অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার তাদেরই অত্যন্ত সচেতনভাবে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে, আয়নাঘরে আটক করে রাখা হচ্ছে। ভারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার প্রমাণ অভিনব গুমের শিকার হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে দুই মাস গুম করে রাখার পর পাচার করা হয়েছে ভারতে। সেখানে তারা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে দেয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সমাজে মানুষের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টির জন্যই গুমকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে আওয়ামী নাৎসীবাদী শাসকগোষ্ঠি। মূল লক্ষ্য বিরোধী কণ্ঠকে নির্মূল করা, দীর্ঘ মেয়াদী ফ্যাসিবাদী শাসনকে নিস্কন্টক করা। এই সরকারের গোটা আমলটাই অপহরণ-গুম-খুন-ক্রসফায়ার এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোন আর্তনাদ, হাহাহার তাদের বোধোদয় ঘটাতে পারেনি। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দেশ, গুম-খুনের দেশ হিসাবে পরিচয় দান করেছেন।