১৪ ঘণ্টা পরও উদ্ধার করা যায়নি সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে

0
67

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় প্রশাসন ভবনে হামলা ও ব্যাংক লুটের ঘটনার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পরও অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার মো. নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় রুমা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

‘অভিযান আব্যাহত আছে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’

গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে রুমা উপজেলা প্রশাসন ভবনে হামলা চালায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা। পরে সোনালি ব্যাংকের শাখায় হামলা চালানো হয়। সে সময় ব্যাংকে আসা নতুন টাকা লুটের পাশাপাশি ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসি (ল্যান্ড) দিদারুল আলম বলেন, ‘গত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৭০-৮০ জনের একদল দুবৃর্ত্ত উপজেলা কমপ্লেক্সের বাউন্ডারির ভেতর মসজিদে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন তারাবি নামাজের জন্য অনেক কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। শুরুতেই নামাজি সবাইকে বন্দি করে সন্ত্রাসীরা প্রচণ্ড মারধর করে। সঙ্গে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা অস্ত্র হাতে ব্যাংক ম্যানেজারকে জিম্মি করে ব্যাংকে নিয়ে যায় এবং লকার খুলিয়ে ব্যাংক লুট করে।’

সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ ও আানসার ভিডিপির) অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করেছে। তারা পুলিশের দুটি এসএমজি ও ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চীনা রাইফেল ও ৩২০ রাউন্ড গুলি ও আনসারের চারটি শর্টগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করে।

সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিনের সদস্য বলে ধারণা করছেন উপজেলার এই কর্মকর্তা।

ব্যাংক ডাকাতি ও ম্যানেজারকে অপরহণের বিষয়ে জানতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের মিডিয়া উইংয়ের ক্যাপ্টেন ফ্লেমিংকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমি পাহাড়ে আছি নেটওয়ার্ক সমস্যা। পরে কথা হবে।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।

আজ সকালে জেলার পুলিশ সুপার সৈকত সাহিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুমা সার্কেল মো. জুনায়েদ রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here