খবর ৭১: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ মানে সংবিধানের চরম লঙ্ঘন, আমরা সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় এ সব বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হবে আমাদের নিয়মে, সংবিধানে যেভাবে লেখা আছে। এর বাইরে কারো চক্রান্তমূলক অভিলাষ বাস্তবায়ন হতে দেবে না আওয়ামী লীগ। বিএনপির একটাই দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনার পদত্যাগ মানে সংবিধানের চরম লঙ্ঘন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, পাকিস্তান-আফগানিস্তানের বন্ধু, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকরা আমাদের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। এই ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতার কাছে সারেন্ডার করব(!) সারেন্ডার করে এ দেশের মাটি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, স্বাধীনতা, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, রাজনৈতিক বিজয়, উন্নয়ন অভিযাত্রা কি বিসর্জন দেব?
রাজনৈতিক অপশক্তির হোতা বিএনপি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে। নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে তারা। সারাদেশে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে বিএনপি। হত্যার শিকার হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আর নির্জলা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিএনপি চিরাচরিতভাবে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে বলেও উল্লেখ করেন নেই নেতা।
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থী যেই হোক তাকে প্রার্থী হিসেবেই দেখছে সরকার। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব রাজনীতিতে অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে ৷ বিশ্বের বড় বড় নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর মাথাব্যথা বাংলাদেশের মতো দেশ নিয়ে। দফায় দফায় বিদেশিরা আসছে, বিএনপিও দফা দিচ্ছে।
এ সময় আ. লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন মায়া, কাজী জাফরুল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর সভায় উপস্থিত ছিলেন ।