খবর ৭১: রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন নৌ পুলিশ।
রোববার (১৬ জুলাই) রাতে সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওয়াটার বাসটি শামপুর লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটের দিকে যাচ্ছিলো। বুড়িগঙ্গা নদীর প্রথম সেতুর দিক থেকে আসা এমভি আরাবি নামে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড সজোরে ধাক্কা দিলে ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়।
সদরঘাট নৌ থানার এসআই হাসান মারুফ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চার জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের দুজন পুরুষ, একজন নারী এবং একজন শিশু।
ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় নৌ পুলিশের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড।
উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল এর কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, আমাদের উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, ওয়াটার বাসটিকে পানি থেকে উঠানোর।
নিখোঁজ যাত্রীদের বিষয়ে তিনি বলেন, নিখোঁজদের সংখ্যাটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আমরা যতটুক জেনেছি ওয়াটার বাসটিতে ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনা নদীর তীরে হওয়ায় ওই সময় অনেক যাত্রী উপরে উঠে আসতে পেরেছে। ধারণা করা হচ্ছে ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।