খবর৭১ঃ
দেশি বিদেশি রং ফর্সাকারী ক্রিমে সয়লাব হয়েছে দেশের বাজার। প্রতিনিয়ত এসব ক্রিমের ব্যবহারে স্কিন ক্যান্সারসহ ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এরই মধ্যে দেশিয় বাজারে বিক্রি হওয়া ভারত,পাকিস্থান ও চায়নার মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠানের ১৯টি ব্রান্ডের স্কিন ক্রিমে মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোন-এর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এছাড়া একটি নিম্নমানের স্কিন লোশনও শনাক্ত করেছে করা হয়েছে। ফলে দেশের বাজারে এসব পণ্যে বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে বিএসটিআই।
শনিবার মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোনযুক্ত রং ফর্সাকারী ক্ষতিকর স্কিনক্রিম সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজুল হক।
বিএসটিআই জানায়, এই সংস্থা কর্তৃক খোলাবাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের/ব্র্যান্ডের রং ফর্সাকারী স্কিন ক্রিম এবং স্কিন লোশন পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষণ শেষে ১৮টি স্কিন ক্রিমের নমুনায় মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোন-এর উপস্থিতি এবং একটি স্কিন লোশন নিম্নমানের পাওয়া যায়। মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোনযুক্ত ঐসব স্কিন ক্রিম এবং নিম্নমানের লোশন বিক্রি-বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ ক্রিমগুলো:
পাকিস্তানের গৌরী কসমেটিকস (প্রা.) লি. এর ‘গৌরী’ স্কিন ক্রিম; এস,জে এন্টারপ্রাইজের ‘চাঁদনী ক্রিম’; কিউ.সি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ‘নিউ ফেইস’ ক্রিম; ক্রিয়েটিভ কসমেটিকস (প্রা:) লি: এর ‘ডিউ’ ক্রিম; নুর গোল্ড কসমেটিকস কোম্পানির ‘নূর হারবাল বিউটি ক্রিম এবং নূর গোল্ড বিউটি ক্রিম’; গোল্ডেন পার্ল কোম্পানির ‘গোল্ডেন পার্ল’ ক্রিম; হোয়াইট পার্ল কসমেটিকস ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ‘হোয়াইট পার্ল প্লাস’ ক্রিম; পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা:) লি: এর ‘ফাইজা’ ক্রিম; লোয়া ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ‘প্যাক্স, নিভিয়া এবং নিভিয়া ক্রিম’; লাইফ কসমেটিকস কোম্পানির ‘ফ্রেস এন্ড হোয়াইট’ ক্রিম; ফেস লিফট কসমেটিকস কোম্পানির ‘ফেইস লাইফ’ ক্রিম; শাহিন কসমেটিকস কোম্পানির ‘ফেইস ফ্রেস’ ক্রিম।
এছাড়া চায়নার গুয়াংজুবায়ো টেকনোলজি কোম্পানির ‘ডা.রাসেল নাইট ক্রিম’ এবং আনিজা কসমেটিকস কোম্পানির ‘আনিজা গোল্ড’ ক্রিম। ইন্ডিয়ান অ্যারোমা কেয়ার কসমেটিকস কোম্পানির ‘ডা. ডেভি’ ক্রিম।
এসবের বাইরে নামবিহীন দুটি প্রতিষ্ঠানের ‘জিয়াওলি ক্রিম’ এবং ‘ফোর কে’ ক্রিম বিএসটিআইয়ের নিষিদ্ধের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ ক্ষতিকর মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোনযুক্ত রং ফর্সাকারী স্কিনক্রিম এবং নিম্নমানের লোশন বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই। সেই সঙ্গে ভোক্তাদের এই ধরনের পণ্য কেনা ও ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকারি সংস্থাটি।