খবর ৭১: ভোলার ইলিশা কূপটি দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখানে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে। দেশীয় গ্যাসের বাজার মূল্যে মজুদ গ্যাসের দাম ৬৫০০ কোটি টাকা। আর আমদানিকৃত এলএনজির দর বিবেচনায় মূল্য দাঁড়াবে ২৬ হাজার কোটি টাকা।
সোমবার সকালে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ।প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই আনন্দের সংবাদ এবং সৌভাগ্যের। এখান থেকে ২৬-৩০ বছর পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যাবে। ভোলাতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩ টিসিএফ গ্যাস মজুদের আশা করা হচ্ছে।
ভোলার ইলিশাতে বর্তমানে দৈনিক ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। সেখানে সব গ্রাহক মিলে চাহিদা রয়েছে ৯২ দশমিক ৩২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। গ্রাহক না থাকায় ২৭ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উদ্বৃত্ত থাকছে। এখন একটি প্রসেস প্ল্যান্ট আছে। আরও একটি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে নতুন কূপের গ্যাস পাইপলাইনে দেওয়া সম্ভব হবে। তখন গ্যাস উত্তোলন সক্ষমতা দাঁড়াবে ১৮০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুটে। উদ্বৃত্ত গ্যাস ঢাকায় এনে সংকটে থাকা শিল্পে দেওয়া হবে। এজন্য ইন্ট্রাকো নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে রোববার চুক্তি করেছে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি। তারা বিশেষ পরিবহনে সিএনজি করে এই গ্যাস নিয়ে আসবে ঢাকা অঞ্চলে। দিনে ৫ থেকে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আনবে ইন্ট্রাকো। প্রতিমন্ত্রী জানান, ভোলা থেকে বরিশাল হয়ে খুলনা যাবে একটি পাইপলাইন। প্রি-ফিজিবিলিটি শেষ এখন ফিজিবিলিটি স্টাডির কাজ চলছে। দ্বীপ জেলা ভোলার অন্য দুটি গ্যাসক্ষেত্র হলো বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র, ৬ কূপ ও সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থ, ২ কূপ। সর্বশেষ ইলিশা ক্ষেত্রে ১ কুপ।