খবর৭১: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আমি ও আমার মা জায়েদা খাতুন এবং আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নির্বাচনি প্রচারণা গেলে আজমত উল্লা খান তার লোক ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে বাধা দিচ্ছেন। প্রশাসনের কিছু লোক আছে; তারা এলাকাভিত্তিক যারা আমাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তাদের মোবাইলে এবং যে কোনোভাবে উঠিয়ে নিয়ে থ্রেট করছেন; ভয় দেখানো হচ্ছে। আবার অনেকের কাছ থেকে টাকা-পয়সাও হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং বলছে- তারা যাতে কোনোভাবেই জায়েদা খাতুনের টেবিল ঘড়ির নির্বাচন না করে। তারা একজন ব্যক্তির (আজমত উল্লা) পক্ষে নির্বাচন করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এটা কি নির্বাচনের পরিবেশ, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া না অন্য কিছু? তারা আজমত উল্লাকে ভোট দেওয়ার জন্য বলপ্রয়োগ করছে।
সাবেক মেয়র আরও বলেন, আমরা যেখানে পোস্টার লাগাই সেখানে গিয়ে তারা ছিঁড়ে ফেলে। এছাড়া গত কয়েক দিন ধরেই তারা আমার মা ও আমাকে হত্যার জন্য চেষ্টা করছে। সবশেষ বৃহস্পতিবার আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে। মহান আল্লাহ এবং এলাকার জনগণ আমাদের রক্ষা করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে তার ছয়দানার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীর আলম।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনকে প্রচার-প্রচারণায় বাধা, হামলা-মামলা, ভাঙচুর ও কর্মীদের ভয়ভীতি ও হুমকির প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন অভিযোগ করেন, তার প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান তার নির্বাচনি গণসংযোগে পথে পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছেন, গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশি তল্লাশির নামে হয়রানি করছে। মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তিনি দ্রুত এসব বন্ধ করে কমিশনকে নির্বাচনি পরিবেশ ফিরিয়ে এনে সব প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আহবান জানান।
এ সময় সাবেক মেয়র ও জায়েদা খাতুনের নির্বাচন পরিচালনার প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমসহ তার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।