খবর৭১: রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নাশকতার কোনো ঘটনা থাকলে তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি মামুন বলেন, ভোরে আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আমরা ছুটে আসি। পৌনে ৭টার মধ্যে সব সিনিয়র অফিসার ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। রাজারবাগ থেকে পাঁচটি ওয়াটার ক্যানন নিয়ে আমরা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করি। আমাদের ওয়াটার রিজার্ভার থেকে প্রায় দুই লাখ লিটার পানি সাপ্লাই দিয়েছি। পুলিশের প্রায় দুই হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আরও বলেন, ভোর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করেন। তারা অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন। র্যাব-বিজিবিসহ তিন বাহিনীর সদস্যরা একযোগে দায়িত্ব পালন করেছেন। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও ঠিক রেখেছি। এর কারণে এত বড় ঘটনার পরও ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল ছিল।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা প্রসঙ্গে পুলিশপ্রধান বলেন, হামলার খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গেছি। জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালামের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিনিধি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। ঈদের আগে এ ধরনের ঘটনাকে তারা খুবই দুঃখজনক বলে জানান। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তারা।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।