বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের রপ্তানি বানিজ্য শুরু হয়েছে

0
190

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি : বাংলাদেশি রপ্তানিকৃত মাছের ট্রাক থেকে স্বর্ণ আটকের ঘটনায় ড্রাইভারসহ ভারতের প্রেটাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ কর্মচারিকে আটকের প্রতিবাদে বন্দর ব্যবহারকারিদের ডাকা অনির্দিষ্ঠকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়েছে। সোমবার দুপুরে ভারতীয় কাস্টম, বন্দর, বিএসএফ, পুলিশসহ উর্দ্ধতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে পেট্রাপোল বন্দর ব্যবসায়ী ও কর্মচারি সংগঠনের সমঝোতা হওয়ায় দুপুরের পর থেকে রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে শুরু হয়েছে। এতে দু’দেশের বন্দর কেন্দ্রীক ব্যবসায়ী ও কর্মচারি সংগঠনগুলোর মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাষ ফিরে এসেছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, গত ১৮ মার্চ সাতক্ষীরার মোস্তফা অর্গানিক নামক একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩ টন তেলাপিয়া মাছ (সাতক্ষীরা ড-১১-০০৪৭ নং) ট্রাকের মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি করে। পণ্য চালানটি রপ্তানির জন্য বেনাপোলের ব্রাদার্স সিন্ডিগেট নামক একটি কাস্টম ক্লিয়ারি এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্ট বেনাপোল কাস্টম হাউসে তাদের ডকুমেন্টস দাখিল করেন। যার আমদানিকারক ছিলেন ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাবা ইন্টারন্যাশনাল। এদিন গোপন সংবাদে ভিত্তিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা ট্রাকটিতে তল্লাশী করে মাছের কার্টুনের মধ্যে থেকে ৪.৬৬৬ কেজি ওজনের ৪০টি স্বর্ণেরবার উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশি ট্রাক চালক সুশঙ্কর দাস ও সুব্রত রায় লাল্টু নামে এক ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারিকে আটক করেন বিএসএফ। এ ঘটনায় আটককৃতদের নিঃশর্তে মুক্তি ও পেট্রাপোল বন্দরে দুটি আধুনিকমানের স্ক্যানার মেশিন স্থাপনের দাবিতে শনিবার সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতির ডাক দেয় বন্দর ব্যবসায়ী ও কর্মচারি সংগঠনগুলো। অবশেষে সোমবার দুপুরে ভারতের সংশ্লিষ্ঠ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়ী ও কর্মচারি সংগঠনগুলোর মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পূর্বের ন্যায় বানিজ্যিক কার্যক্রম সচল হয়েছে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, দুইদিন যাবত রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দরে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়েছিল প্রায় ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এসব পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাতদ্রব্য, কেমিকেল, গার্মেন্টস, মাছসহ পচনশীল জরুরী পণ্য ছিলো। কর্মবিরতি প্রত্যাহার হওয়ায় এখন আমদানি-রপ্তানিকারকদের মনে স্বস্তির নিশ্বাষ ফিরে এসেছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, স্বর্ণ পাচার মামলা নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দ্বন্ধের জেরে ব্যবসায়ীদের ডাকা কর্মবিরতী প্রত্যাহার হওয়ায় রফতানি বাণিজ্য চালু হয়েছে।

স্থানীয় সাধারন ব্যবসায়ীরা জানান, আগে বিভিন্ন চোরাই সীমান্ত পথে স্বর্ণ চোরাচালান হলেও এখন বৈধ পথে স্বর্ণ ও মাদকের ব্যবসা বেড়েগেছে। এতে বানিজ্যে বিঘœ ও সাধারন ব্যবসায়ীসহ ট্রাক চালকরা হয়রানির মধ্যে পড়ছে। এর সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারলে পাচার কার্যক্রম বন্ধ হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here