খবর৭১: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানের গণমাধ্যমেও বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, মিলিটারি ডিক্টেটর জিয়াউর রহমানের পকেট থেকে পাকিস্তানি দর্শনের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে এখনো মানসিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। এটা তাদের মানসিক দৈন্য। আজ যখন মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে তখনও বিএনপি নেতারা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী দেশবাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আগামীতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে, ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা মির্জা ফখরুলের এই মন্তব্য শতাব্দীর সেরা কৌতুক শুধু নয় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চরম বিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতারা এমন অসংলগ্ন প্রলাপ বকছেন, মনে হয় রাজনৈতিক নেতা হিসাবে তাদের বিবেক-বুদ্ধিই শুধু হারাননি, চক্ষুলজ্জাও হারিয়ে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ইতিহাস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে যুক্ত। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ত্রিশ লাখ শহিদের রক্ত ও আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করে। মির্জা ফখরুলের এই ধরনের অশালীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুমহান ঐতিহ্যকে অসম্মানিত করেনি বরং ত্রিশ লাখ শহিদের আত্মত্যাগকেও অপমানিত করেছে। একইসঙ্গে তিনি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। মির্জা ফখরুলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য জাতির অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত হেনেছে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। জাতির পিতার নেতৃত্বে প্রণীত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে যে নীতি-আদর্শ শক্তি ও প্রেরণা জুগিয়েছে তা এ রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসাবে সংবিধানে প্রতিফলিত হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা। বিএনপি জš§লগ্ন থেকে আদর্শগতভাবে এ রাষ্ট্রের জন্মের মূলচেতনাবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। মির্জা ফখরুল কিছু দিন পূর্বে মন্তব্য করেছিলেন, ‘পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম।’ তাদের পাকিস্তান প্রীতি নতুন কোনো বিষয় নয়।