খবর৭১: সেরা চারে থেকে প্রথমপর্ব শেষ করতে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না খুলনা টাইগার্সের। কিন্তু ফরচুন বরিশালের ছুড়ে দেয়া ১৯৫ রানে চ্যালেঞ্জের বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫৮ রান তুলতে পেরেছে খুলনা। ফলে ৩৭ রানে হেরে প্লে-অফ খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল হোপ-তামিম-ইয়াসিরদের।
বড় লক্ষ্যকে তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হয়েছেন মাত্র ১ রানে। দ্বিতীয় উইকেটে নেমে ঝড়ো সূচনার ইঙ্গিত দেন দলনেতা শেই হোপ। সঙ্গ দিচ্ছিলেন অ্যান্ডি বালর্বিনিও। কিন্তু ১২ রানে বালর্বিনি আউট হন। শূন্যরানে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়ও।
এরপর থেমে যায় রানের চাকা। আর হোপ ৩৭ রানে ফিরলে বিপদেই পড়ে খুলনা টাইগার্স। পরের উইকেটে নাহিদুল ইসলামকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ইয়াসির আলি রাব্বি। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। এই দুজন মিলে কেবল ব্যবধান কমিয়েছেন।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ৫৬ বলে ৮১ রান। অর্ধশতক পূরণের পর ৬০ রানে থামেন রাব্বি। ২৪ বলে ২৪ রানে ফেরেন নাহিদুল। এছাড়া নাসুম ১০, ম্যাকেরান ১ ও দেয়াল ৫ রান করেন।
এর আগে মিরপুরে শুরুতে টস হেরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় ফরচুন বরিশাল। ১৩ রানে এনামুল হক বিজয় ফিরলেও পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে আসে ৬২ রান। ফজলে মাহমুদ করেন ২৮ বলে ৩৮ রান। আর দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নামা ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে আসে ২৩ রান।
এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইফতেখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে চার-ছক্কার বৃষ্টি নামান দলনেতা সাকিব আল হাসান। ৩৬ বলে দুজন মিলে তুলেন ৫২ রান। ২১ বলে একটি চার ও চারটি ছয়ের মারে ৩৬ রানে ফেরেন সাকিব। পরের উইকেটে খেলতে নেমে মাত্র ৬ বলে ১০ রান করেন করিম জানাত।
এদিকে শেষ পর্যন্ত খেলে যান ইখতেখার আহমেদ। মাত্র ৩০ বলে ফিফটি পূরণ তিনি। অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। ৩১ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি তিনটি করে চার-ছয়ে সাজানো। আর ২ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন দলের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।