খবর ৭১: তবে বর্তমান গবেষণা বলছে, মানে যতই ভালো হোক না কেন, ফলের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে গেলে এবং ফল খেতে হবে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। তবেই ফলে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজগুলো শরীরের উপকারে আসবে।
কখন কখন ফল খেলে শরীরের উপকারে আসবে?
১) সকালে ঘুম থেকে উঠে
ফল খাওয়ার আদর্শ সময় হলো সকাল। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে খালি পেটেই ফল খেলে অনেকেরই সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে মুখ ধুয়ে, পানি পান করে তার কিছুক্ষণ পর ফল খেতেই পারেন। ঘুম থেকে ওঠার পর ফল খেলে তা হজম হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। ফলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং এনজ়াইমগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
২) দুটো খাবারের মাঝে খেতে পারেন-
সকালের নাসতা এবং দুপুরের মধ্যাহ্নভোজের মাঝে খিদে পায়? এই সময় ফল খাওয়া উপকারী। কারণ সকালের খাবার খেয়ে পেট ভার হলে, ফল সেই খাবার হজম করিয়ে দিতে পারে খুব সহজেই। প্লেটভর্তি ফলের সঙ্গে বাদাম এবং বিভিন্ন রকমের দানাশস্য সকালের নাশতা হিসেবেও ভালো।
৩) শরীরচর্চা করার আগে এবং পরে খেতে পারেন-
শারীরিক কসরত করতে যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন তা পেতে গেলে উচ্চ ক্যালরির খাবার খেতে হবে। কিন্তু জিম করার আগে বা পরে তেমন খাবার খেতে নিষেধ করেন প্রশিক্ষকরা। এই সময়েও খাওয়া যেতে পারে ফল।
কোন সময়ে ফল খাওয়া শরীরের জন্য খারাপ?
১) রাতে শুতে যাওয়ার আগে নয়-
ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফল খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। শুধু তা-ই নয়, পর্যাপ্ত ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ফল।
২) মূল খাবারের সঙ্গে নয়-
সময় নেই, তাই মূল খাবারের সঙ্গেই ফল খেতে শুরু করেছেন? এই অভ্যাসে হজমশক্তি নষ্ট হয়। ফলের পুষ্টি শরীরে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে খাবার এক ঘণ্টা আগে বা এক ঘণ্টা পরে ফল খেতে পারেন।
৩) চা বা কফি খেতে খেতে ফল নয়-
দুপুরের ভাতঘুম ফল খাওয়ার কথা ভুলিয়ে দিয়েছে। বিকেলে তাই চা খেতে খেতেই কেটে রাখা ফলগুলো খেয়ে ফেললেন। এই অভ্যাস যে শুধু খারাপ তা-ই নয়, বিষক্রিয়ার কারণও হতে পারে। সূত্র আনন্দবাজার।