খবর ৭১: আগের দুই ওয়ানডে ম্যাচে পরাজয়ে সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল সফরকারী ইংল্যান্ডের। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার সামনে পড়েছিল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ৫৯ রানের জয় তুলে নিয়েছে ইংলিশরা। ফলে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সান্ত্বনার জয় নিয়ে সফর শেষ করল জস বাটলারের দল।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) কিম্বারলিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার ডেভিড মালান এবং অধিনায়ক বাটলারের জোড়া সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪৬ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংল্যান্ড।
তবে সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু ওপেনার রিজা হেনড্রিকসের ৫২ ও হেনরিক ক্লাসেনের ৮০ রানের ইনিংসের পরও জোফরা আর্চারের ক্যারিয়ার সেরা ৬-৪০ বোলিং ফিগারে শেষ পর্যন্ত ৪৩.১ ওভারে ২৮৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে আগের দুই ম্যাচ জয়ের সুবাদে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ প্রোটিয়াদেরই।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে মালান-বাটলারের ২১১ বলে ২৩২ রানের অবিশ্বাস্য জুটিতে ৭ উইকেটে ৩৪৬ রানের পাহাড় গড়েছিল ইংলিশরা।
মালান-বাটলার দুজনই সেঞ্চুরি তুলে নেন। যেখানে ১১৪ বলে ৭ চার আর ৬ ছক্কায় ১১৮ রানের ইনিংস উপহার দেন মালান। আর ৬টি বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায় ১২৭ বলে ১৩১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন বাটলার। এ ছাড়া মঈন আলি ২৩ বলে ৪১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার লুঙ্গি এনগিদি ৬২ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন।
বেশ কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ২৭ বলে করেন ৩৫ রান। এদিন রসি ভ্যান ডার ডুসেন মাত্র ৫ করেন। রিজা হেনড্রিকস ৬৫ বলে খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। নম্বর ফোর এইডেন মার্করামের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৩৯। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা রান তাড়ায় টিকে ছিল মূলত হেনরিক ক্লাসেনের ব্যাটে।
৬২ বলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় ৮০-তে পৌঁছে যাওয়া ক্লাসেনকে ফিরিয়ে ম্যাচ হাতে নিয়ে আসেন আগুন ঝরানো জোফরা আর্চার। শেষ পর্যন্ত ৪৩.১ ওভারে ২৮৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে আর্চার ৪০ রানে একাই নেন ৬ উইকেট। ওয়ানডেতে ইংলিশ কোনো বোলারের এটি তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার।