খবর৭১ঃ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ আঘাত হেনেছে বাংলাদেশের উপকূলে। সোমবার সন্ধ্যায় উপকূল স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের মাঝামাঝি এলাকায় উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ আজ মধ্যরাতে বরিশাল ও চট্টগ্রামের উপকূল অতিক্রম করবে।
ভারি বর্ষণ আর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সঙ্গী করে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’।
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে মধ্যরাতের দিকে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়টি কয়েক ঘণ্টা ধরে উপকূল অতিক্রম করলে মধ্যরাতের কাছাকাছি সময়ে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবীদরা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামানের মতে, জলোচ্ছ্বাসের রূপ কেমন হবে তা নির্ভর করছে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র কখন দেশের উপকূল অতিক্রম করবে তার ওপর।
তিনি জানান, জোয়ার-ভাটার হিসাব অনুযায়ী রাত ৯টার দিকে দক্ষিণাঞ্চলে জোয়ার শুরু হবে। রাত ১০টা থেকে ১১টার দিকে জোয়ারের পানির উচ্চতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে। এ সময়ে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করলে জোয়ারের স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত পানি বাড়তে পারে।
এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের পূর্বাভাস বলছে, বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের চোখ বা কেন্দ্রভাগ পটুয়াখালীর রাঙাবালি বা চর মন্তাজ এলাকায় উপকূল স্পর্শ করবে। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ৫০ নট বা ঘণ্টায় ৯৩ কিলোমিটারের মত।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দরও বন্ধ রয়েছে।