মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর:
সৈয়দপুরে তার চোর চক্রের মূল হোতাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় চুরি যাওয়া সার্ভিস তারের গলানো সাড়ে ১০ কেজি তামার তার শহরের একটি ভাঙ্গারীর দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলো শহরের কুন্দল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনোয়ারের পুত্র মো. আপেল ওরফে রুবেল (২২) ও একই এলাকার মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র মো. দিলদার(৩৩)।
এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার ২ জনকে গতকাল রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে মামলার ওপর আসামি ভাঙ্গারী ব্যবসায়ি উপজেলার ওয়াপদা হাজীপাড়া এলাকার বদরুদ্দিন ওরফে বদ্ধুর পুত্র জঞ্জালু ওরফে বাবু (৪৮) পলাতক রয়েছে।
থানা পুলিশ জানায়, গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে মুষলধারে বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ না থাকার সুযোগে সৈয়দপুর উপজেলার রাবেয়া মোড়ের পাশে ইকু পেপার মিলস লিমিটেডের বাউন্ডারি ওয়াল সংলগ্ন বৈদ্যুতিক সঞ্চালন মেইন লাইন এর ১০০ গজ তার চুরির ঘটনা ঘটে। এসব তারের আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় পেপার মিলস কর্তৃপক্ষ সৈয়দপুর থানায় একটি অভিযোগ দেয়। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলামের নির্দেশে থানার উপ-পরিদর্শক মো.সাহিদুর রহমান ও আহসান হাবিবসহ অন্যান্য অফিসার তার চুরির রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের ধরতে নানা কৌশলে পুলিশি তৎপরতা শুরু করেন। তারা বিভিন্ন সোর্স নিয়োগ করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত শনিবার রাতে কুন্দল এলাকার আপেল ওরফে রুবেল ও দিলদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে ইকু পেপার মিলস এর তার চুরিসহ, পৌরসভার বিভিন্ন পোলের (খুঁটি) বৈদ্যুতিক এবং অন্যান্য এলাকায় তার চুরির ঘটনার বিষয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা তার চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
চুরি করা এসব তার ওয়াপদা হাজীপাড়া এলাকার ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী জঞ্জালু ওরফে বাবুর কাছে বিক্রি করেছে বলে জানায়। পরে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে রাতেই ওই ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীর দোকানে অভিযান চলিয়ে সেখান থেকে গলানো অবস্থায় সার্ভিস তারের সাড়ে ১০ কেজি তামার তার উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় চোরাই মাল ক্রেতা জঞ্জালু উপস্থিত ছিল না।
খবর পেয়ে ইকু পেপার মিলস এর প্রকৌশলী মো.আব্দুল আলিম থানায় এসে আটক ২ জনকে চুরির সাথে জড়িত বলে শনাক্ত করে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার ৩ জনকে আসামি করে বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন তিনি।
থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাহিদুর রহমান ও আহসান হাবিব জানান, আটক ২ জন বিভিন্ন এলাকায় তার চুরির সাথে জড়িত এবং চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে চুরিসহ অন্যান্য একাধিক মামলা রয়েছে।
তারা বলেন, ওই মামলায় পলাতক আসামি জঞ্জালুসহ সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুত তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম তার চোর চক্রের সক্রিয় ২ সদস্য গ্রেফতার ও তার উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।