খবর ৭১: ইরাকের রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনে অবস্থিত সংসদ ভবনে আবারও হামলা চালিয়েছেন দেশটির প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুক্তাদা আল-সদরের সমর্থকরা। গত এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো শনিবার ওই শিয়া নেতার সমর্থকরা সংসদ এলাকার নিরাপত্তা প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে সেখানে প্রবেশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী পদে ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন দলের নেতাদের মনোনয়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন ইরাকিরা। গত বুধবার বাগদাদের সংসদ ভবনে হামলা চালান মুক্তাদা আল-সদরের সমর্থকরা। হামলার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নের জন্য ডাকা সংসদের অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছিল।
বাগদাদের গ্রিন জোনে ইরাকের সরকারি বিভিন্ন ভবন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস রয়েছে। শনিবার বিক্ষোভকারীরা ওই এলাকার কংক্রিটের তৈরি ব্যারিকেড পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
একজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘সবাই আপনার সাথে আছে সাইয়্যেদ মুক্তাদা।’ এদিকে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমির গণমাধ্যম কার্যালয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিনিধি মাহমুদ আবদেলওয়াহেদ বাগদাদ থেকে বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা কাঁদানে গ্যাসের আঘাতে আহত হলেও পিছু হটেননি। তিনি বলেন, বুধবার বিশালসংখ্যক জনগণ সংসদ ভবন দখলে নিয়েছিল। আর দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী প্রায় কোনও ধরনের বাধা ছাড়াই তাদের সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে দিয়েছিল।
বিক্ষোভকারীরা দেশটির সাবেক মন্ত্রী এবং প্রাদেশিক গভর্নর মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির প্রার্থীতার বিরোধিতা করছেন। সাব্কে এই মন্ত্রীকে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ইরানপন্থীরা বাছাই করেছেন বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
২০২১ সালের অক্টোবরে ইরাকে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ৩২৯ আসনের মধ্যে মুক্তাদা আল-সদরের ব্লক ৭৩ আসনে জয় পায়। কিন্তু ভোটের পর থেকে নতুন সরকার গঠনের আলোচনা থমকে আছে এবং আল-সদর রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছেন। যদিও সদরের ব্লকই সর্বশেষ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়েছে।
শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হায়দার আল-লামি নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা এখানে একটি বিপ্লবের জন্য এসেছি। আমরা দুর্নীতি চাই না। যারা ২০০৩ সাল থেকে ক্ষমতায় আছে, আমরা চাই না তারা ফিরে আসুক… তারা আমাদের কেবল ক্ষতিই করেছে।