খবর৭১ঃ বাংলাদেশে চাষকৃত মাছের মধ্যে পাঙ্গাস মাছ অন্যতম। পাঙ্গাস মাছ প্রোটিনের চাহিদা পূরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। কিন্তু গন্ধের কারণে মাছটি অনেকের কাছেই অপছন্দের। তাই সবার কাছে এর পুষ্টি এবং মাছচাষিদের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পাঙ্গাস মাছের অব্যবহৃত অংশ থেকে ১১টি পণ্য উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের একদল গবেষক।
শুক্রবার বেলা ১১টায় উদ্ভাবিত পণ্য সম্পর্কে এসব তথ্য তুলে ধরেন গবেষক দলের প্রধান ড. ফাতেমা হক শিখা।
পাঙ্গাস থেকে উদ্ভাবিত ১১টি পণ্য হলো- ফিশ বার্গার, ফিশ আঁচার, ফিশ চাটনি, ফিশ কাটলেট, ফিশ সসেজ, ফিশ পাপড়, ফিশ ফ্লেক, ফিশ চিপস, ফিশ ম্যাকারনি-পাস্তা, ফিশ জিলাটিন, ফিশ গ্লু/আঠা।
এ প্রসঙ্গে গবেষক দলের প্রধান ড. শিখা বলেন, ফিশ পণ্যগুলোর মধ্যে শুকনো খাবার বায়ু শূন্য পলিথিনের ব্যাগে ছয় থেকে নয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। অন্যদিকে ভেজা খাবারগুলো ফ্রিজে তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। এছাড়া ফিশ আচার এবং চাটনি প্রায় এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব।
অপর গবেষক ড. ইসমাইল বলেন, পণ্যগুলোর মধ্যে ফিশ বার্গারে ২০ দশমিক ৯৮, ফিশ আচারে ২২ দশমিক ৫০, ফিশ চাটনিতে ৬ দশমিক ৬৮, ফিশ কাটলেটে ১৮ দশমিক ৩৮, ফিশ সসেজে ১২ দশমিক ৫৪, ফিশ পাপড়ে ২৩ দশমিক ৯২, ফিশ ফ্লেকে ২৪ দশমিক ৫৬, ফিশ চিপসে ২৪ দশমিক ৮৭ এবং ফিশ ম্যাকরনি-পাস্তায় ২২ দশমিক ৭২ শতাংশ প্রোটিন রয়েছে। এই গবেষণার সঙ্গে একই বিভাগের ১৪ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী যুক্ত ছিলেন। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া দুই বছরের গবেষণাটি শেষ হয় ২০২২ সালে।