নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু তাঁর বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগের সাজানো মামলা দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল রবিবার বেলা ১১টায় শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি ওয়ারিশন সনদপত্র প্রদান ও জমির জাল দলিল সম্পাদন সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাটিকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে বলেন তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানির উদ্দেশ্যে বাদী আরশাদ আলো তাঁর নামে ওই মিথ্যা মামলাটি করেছেন। তিনি জানান, সৈয়দপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক আজিজুল হক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ওয়ারিশন (অংশীদারিত্ব) সনদের জন্য আবেদন করেন। আর তিনি গত ৩ মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ওই ব্যক্তির একটি ওয়ারিশন সনদপত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন আজিজুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি মিথ্যা ও জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করে ওয়ারিশন সনদপত্রটি গ্রহন করেছেন। এরপর তিনি (কাউন্সিলর) গত ৬ মার্চ বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আজিজুল ইসলামকে প্রদত্ত ওয়ারিশন (অংশীদারিত্ব) প্রত্যায়নপত্র বাতিলের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র বরাবরে একটি আবেদন দেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১০ মার্চ সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান আজিজুল ইসলামের ওয়ারিশন সনদপত্রটি বাতিল করেন। পরবর্তীতে পৌরসভার কাউন্সিলর জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু ওয়ারিশন সনদপত্র বাতিলের বিষয়টি পত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরে অবহিত করাসহ প্রতারণার মাধ্যমে ওয়ারিশন সনদ গ্রহনকারী আজিজুলের বিরুদ্ধে আদালতে একটি প্রতারণা মামলাও করেন। যা বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে পৌর কাউন্সিলর মিন্টু অভিযোগ করে বলেন, চলতি বছরের গত ১০ এপ্রিল পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের মৃত. মজিবর রহমানের ছেলে মো. আরশাদ আলো নীলফামারী জেলা জজ কোর্টে আমাকে প্রধান আসামী করে ওয়ারিশন প্রত্যায়নপত্র ও জমি সংক্রান্ত একটি জালিয়াতি মামলা দায়ের করেন। অথচ যে জমি নিয়ে জাল দলিল সম্প্রদানের মামলাটি করা হয়েছে তাতে মামলার বাদীর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। মূলত. মামলার বাদীর বড় ভাই গত পৌরসভা নির্বাচনে আমার একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। তারই জের ধরে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানি করতেই আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এ মামলাটি করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিরোধপূর্ণ জমি বেচাকেনায় আমার কোন রকম সম্পৃক্ততা ছিল না। শুধুমাত্র ভুলবশত আমি ওয়ারিশন সনদপত্রে স্বাক্ষর করেছি। বাদী আরশাদ আলোর করা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলাটি আইনিভাবে মোকাবেলা করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি। এসময় বিরোধপূর্ণ জমির অংশীদার রবি প্রামানিকের নাতি মো. লোকমান হোসেন ও মোক্তার হোসেন উপস্থিত ছিলেন ।