খবর৭১ঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আগুন নেভাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দাহ্য পদার্থ নিয়ে লুকোচুরির কারণেই আগুন পুরোপুরি নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
এদিকে আগুন ও বিস্ফোরণে নিহতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। চমেকে থাকা ১২টি লাশের মধ্যে কেবল একটি লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি লাশ শনাক্ত করতে সোমবার সকাল থেকে ডিএনএ পরীক্ষা শুরু হবে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ডিপোতে থাকা কনটেইনারে দাহ্য পদার্থ রয়েছে। কিন্তু কোন কনটেইনারে কী ধরনের দাহ্য পদার্থ রয়েছে সেটা কারও কাছ থেকে জানা যাচ্ছে না। এ কারণেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। এদিকে রবিবার ডিপোর সার্বিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনার ইঞ্জিনিয়ার কোর। তারাও সেখানে কাজ করে যাচ্ছেন।
চমেকে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ জনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। নগরীর অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালেও আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভয়াবহ এই আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন দপ্তর এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে, জেলা প্রশাসন ৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে আজ সীতাকুণ্ডের ঘটনাস্থল ও চমেকে আসতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।