খবর৭১ঃ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষের পর নিউমার্কেট এলাকার দোকানগুলোর ছাদে সাদা পতাকা উড়িয়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। এর মাধ্যমে ‘আর সংঘর্ষ নয়, শান্তি চাই’- এই বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।অন্যদিকে দোকান খোলার খবরে ফের সড়কে বিক্ষোভে নামা শিক্ষার্থীরাও তাদের ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দিনভর থেমে থেমে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
ওই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নাহিদ হোসেন নামে এক কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার বাসা থেকে বের হয়ে ওই এলাকায় এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গিয়ে আহত হন। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে মারা যান তিনি। এ ছাড়া আরও একজন আইসিইউতে রয়েছেন।
সংঘর্ষের কারণে মঙ্গলবার সারা দিন ওই এলাকার প্রায় ৭৫টি বিপণি বিতানের কোনো দোকান খোলেনি। বুধবার সকালে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত হওয়ার পর ওই এলাকা বিভিন্ন বিপণি বিতানের ছাদে সাদা পতাকা উড়তে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের বিপরীতে ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেটের উপরে তিনটি সাদা পতাকা, নূর ম্যানশনের ছাদে দুটি, নিউমার্কেটের বিপরীতে গাউছিয়া মার্কেটের ছাদে একটি ও ইসমাইল ম্যানশনের ছাদে দুটি পতাকা উড়তে দেখা যায়।
গাউছিয়া মার্কেটের এক দোকানি বলেন, গত দুই দিনে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে, আর ক্ষতি চাই না। তাই আমরা শান্তির প্রতীক হিসেবে ছাদে পতাকা উড়িয়েছি।
এদিকে বুধবার বিকালে নিউমার্কেট খুলে দেওয়ার খবরে ঢাকা কলেজের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করা শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন।শিক্ষক ও পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে ক্যাম্পাসে ফেরত পাঠায়। ফলে ওই এলাকার সব সড়কে বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক।
নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করেই আবারো পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়। আমরা প্রয়োজন না হলে কখনো শক্তি প্রয়োগ করি না। যতটুকু প্রয়োজন ছিল ততটুকু শক্তি প্রয়োগ করেছি। আপনারা দেখেছেন আজকে পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক ছিল। ছাত্ররাও অনেক শান্ত ছিল।
এডিসি বলেন, আপনারা দেখেন ব্যবসায়ীরা প্রত্যেকটা মার্কেটে সাদা পতাকা, শান্তির পতাকা তারা উড়িয়েছে। ঢাকা কলেজের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা কথা বলেছে, বিষয়টা সমাধান হচ্ছে। আশা করি, সবাই শান্ত হয়ে যাবে।