সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

0
157

খবর৭১ঃ পূর্ব নির্ধারিত মাইলেজ বা বেতন-ভাতা বাতিল করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত মাস্টার আফসার উদ্দিন।

তিনি বলেন, রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারীদের দাবিদাওয়া নিয়ে ড্রাইভাররা ট্রেন চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সারাদেশেই ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল ৬টা থেকে দেশের সব জায়গায় একযোগে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। সমাধান হলে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এক যাত্রী বলেন, ‘ট্রেন যেন মিস না হয় তার জন্য সারারাত না ঘুমিয়ে এসেছি। সেহরি খেয়েই রওয়ানা দিয়েছি। কিন্তু এসে দেখি ট্রেন চলবে না। তাদের দাবিদাওয়া থাকলে তারা মিটিয়ে নেবে। কিন্তু ভুক্তভোগী আমরা কেন হব?’

আরেক যাত্রী বলেন, ‘রমজান মাসে রোজা থেকে এ ধরনের হয়রানি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ধর্মঘট করতে চাইলে আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে করতো। কিন্তু কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এভাবে ট্রেন বন্ধ করে আমাদেরকে কষ্ট দিচ্ছে রেলওয়ে।’

এ সময় কমলাপুর রেলওয়ের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, অনিবার্য কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কখন ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা বলা যাচ্ছে না। কেউ চাইলে টিকিট ফেরত দিয়ে কাউন্টার থেকে টাকা নিতে পারেন।

এদিকে ভাতা বাড়ানোর দাবিতে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকেও কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় শত শত যাত্রীকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

সকাল ৭ টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ার কথা সুবর্ণ এক্সপ্রেস। এরপরই সিলেটের উদ্দেশে ছাড়ার কথা ছিল পাহাড়িকা এক্সপ্রেস। কিন্তু লোকোমাস্টার এবং গার্ডরা ট্রেনে না আসায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি আন্দোলনকারীরা ইঞ্জিন না এনেই পাহাড়তলী শেডে মিছিল সমাবেশ করে। তবে আগে কোনো ঘোষণা ছাড়া এ ধরনের অচলাবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here